মাছ চাষ (Fish Farming)
ভূমিকা (Introduction) :
জনসংখ্যার বিস্ফোরণের সাথে সাথে খাদ্যের জোগানের ঘাটতি থাকায় মানুষের অপুষ্টিজনিত সমস্যা প্রকট হয়েছে, বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে (Third World Countries)। এর মোকাবিলায় পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে মাছকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ মাছের পুষ্টিমূল্য উদ্ভিজ্জ উপাদান থেকে বেশি; এমনকি দুধ, মাংস এবং ডিমের চাইতে অধিক। প্রোটিন সমৃদ্ধ, সহজপাচ্য এবং দৈহিক বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী উপাদানসমূহ আমরা মাছ থেকে পাই। চাষযোগ্য মাছের দেহে জলের পরিমাণ : 53-89%, প্রোটিন : প্রায় 20%, ফ্যাট : 1 ৪%, কার্বোহাইড্রেট : সামান্য, খনিজ পদার্থ যথা— ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লৌহ এবং সালফার : 1-2%, ভিটামিন A, D, E এবং B-কমপ্লেক্স কিছু পরিমাণে পাওয়া যায়। সবিশেষ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল— মানুষের দেহ গঠনের অত্যাবশ্যক সকল প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড (all the essential amino acids) এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (PUFA) মাছ থেকে সংগৃহীত হয়। PUFA রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে মানুষকে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। তাই মাছের অধিক পুষ্টিমূল্য এবং ঔষধিগুণ থাকায় মাছ চাষ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং খাদ্য তালিকায় মাছের অন্তর্ভূক্তি বিশেষ স্থান লাভ করেছে।
Ichthyology (Gk. Ichthys = fish; logos = discourse) বলতে মাছ বিষয়ক বিজ্ঞানকে বোঝায়।
ইংরেজি শব্দ Fish (Pisces in Latin; 'Machli' in Hindi; 'Matsya' in Sanskrit) বাংলায় ‘মাছ’ রূপে পরিচিত। এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ
থানা- দিনহাটা,
জেলা-কুচবিহার