আধুনিক ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা-বিস্তারের ক্ষেত্রে ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দ গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
১) Charter Act of 1813:
- এই আইন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে ভারতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের অনুমতি দেয়।
- এর ফলে কলকাতা মাদ্রাসা (১৭৮০), বenares Sanskrit College (১৭৯১), Fort William College (১৮০০) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়।
- Charter Act of 1813 পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার লাভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২) বিদ্যাসাগরের অবদান:
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা ভাষা কে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
- তিনি সংস্কৃত ও বাংলা ভাষায় পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন এবং স্কুল স্থাপন করেন।
- বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টার ফলে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তার লাভ করে।
৩) নারী শিক্ষার প্রসার:
- ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে নারী শিক্ষা অবহেলিত ছিল।
- ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে বেথুন স্কুল (১৮৪৯) ও কলকাতা ফিমেল স্কুল (১৮৫০) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী শিক্ষার সূচনা হয়।
- রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ সমাজ সংস্কারক নারী শিক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
৪) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন:
- পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয় সমাজে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসে।
- জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা, সতীদাহ প্রভৃতি কুসংস্কার দূরীভূত হতে শুরু করে।
- সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ঘটে।
৫) জাতীয়তাবাদের উত্থান:
- পাশ্চাত্য শিক্ষা ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভারতীয়রা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে এবং ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভের জন্য আন্দোলন শুরু করে।