পোকা ধ্বংসের উপায়
সাধারণত বর্ষাকালে মাঠে-ঘাঠে যেমন পোকা জন্মায়, সেই রকম আঁতুড় পুকুরেও প্রচুর পোকা জন্মায়। এর জন্য ঘন চট জাল টেনে ওদের তুলে ফেলতে হবে। একেবারে যদি সম্ভব না হয়, তবে বার বার কয়েকবার এইভাবে জাল দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। তবুও বেশ কিছু পোকা অবশিষ্ট থেকে যায়। এইসব পোকাগুলির মধ্যে হাঁস পোকা খুব মারাত্মক। আশপাশের জলাশয় বা মাঠ-ঘাট থেকে এই পোকা লাফিয়ে এসে পুকুরে পড়ে। কচি কচি ডিম পোনা এদের খুব প্রিয় খাদ্য। তেল সাবান অথবা কেরোসিন তেলের ও ক্লিনারের সাহায্যে এই পোকা ধ্বংস করা যায়।
আধুনিক মাছের চাষ ও মাছের যত্ন তেল সাবান দেবার নিয়ম
এর ব্যবহারের জন্য প্রতি হেক্টরে ১৮ কেজি, প্রতি একরে ৭.২ কেজি সাবান ঠিক ঐ পরিমাণ জলে ভালো করে গুলে নিতে হবে। পরে এই সাবান জলটা ফুটিয়ে নেবেন। তারপর এই সাবান জল যদি ৫৪ একর জলাশয়ের পরিমাণ হয়, তাহলে ২১.৬ কেজি উদ্ভিজ্জ তেলে অর্থাৎ বাদাম, তিসি, রেড়ী বা সরসের যে কোন এক বা একাধিক তেল ওর সঙ্গে দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর তেল সাবান মিশিয়ে পুকুরের চারদিকে ছিটিয়ে দিতে হবে, যাতে সম্পূর্ণ মিশ্রণটি পুকুরের জলে মিশে যায় ও জল আলোড়ন না করে স্থিরভাবে রাখতে হবে। এইভাবে ৪/৫ ঘণ্টা রাখতে হবে। এইভাবে তেল সাবান ব্যবহার করলে পুকুরের সব পোকা ধ্বংস হবে। যদি ঝড়বৃষ্টির দিনে এইভাবে তেল সাবান পুকুরে দেন, তাহলে কোন কাজ হবে না। খুব ভোরে বা সন্ধ্যায়, যখন চারদিকে থমথমে ভাব দেখা দেবে, সেই সময় এই মিশ্রণ জলে দিতে হবে। মনে রাখবেন ডিম ছাড়ার ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার আগে মিশ্রন ছড়িয়ে দেবেন। খুব বেশী আগে এই মিশ্রণ দেবেন না, তাহলে পোকার ক্ষতি হবে না। সাবানের পরিবর্তে অল্প দামের ডিটারজেন্ট পাউডার এবং অল্প দামের পোড়া তেল ও ব্যবহার করতে পারেন।
কেরোসিন পুকুরে দেবার নিয়ম
এসব ঝামেলা মনে হলে আপনারা ক্লিনার ব্যবহার করুন আমরা ক্লিনার ব্যবহার করে থাকি ৫০ গ্রাম ক্লিনার ৫ফুট জলের গভীরতায় ডিম পোনা ছাড়ার জন্য। পশুর ওষুধের দোকানে ক্লিনার পাওয়া যায়।
Well come
উত্তরমুছুন