extra questions of respiration class 10

   •  সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :                                  প্রতিটি প্রশ্নের মান-2      





*Q. 1. শ্বসনকে শক্তির প্রকাশ বা মুক্তি বলে কেন?
 Ans. শ্বসন প্রক্রিয়ার সময় খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি তাপ শক্তিরূপে মুক্ত হয়, তাই শ্বসনকে শক্তির
প্রকাশ বা মুক্তি বলে।
***Q. 2. সালোকসংশ্লেষ ও শ্বসনের দুটি পার্থক্য উল্লেখ কর।
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1991, 194, 2000)
Ans. (i) সালোকসংশ্লেষ একটি উপচিতি বিপাক, অপরপক্ষে শ্বসন একটি অপচিতি বিপাক। (ii) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় CO. গৃহীত হয় এবং O, বর্জিত হয়, অপরপক্ষে শ্বসন প্রক্রিয়ায় O2 গৃহীত হয় এবং CO2 বর্জিত হয়।
*Q. 3. দিনের বেলা সবুজ উদ্ভিদে ঘটিত সালোকসংশ্লেষ ও শ্বসনের মধ্যে কী সম্পর্ক লক্ষ
করা যায়?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1991)
Ans. দিনের বেলায় সবুজ উদ্ভিদে সালোকসংশ্লেষ এবং শ্বসন একই সঙ্গে সাধিত হয়। সালোক সংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ সংশ্লেষ হয় এবং শ্বসন প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ জারিত হয়। সালোকসংশ্লেষের ফলে উপজাত পদার্থ হিসেবে যে অক্সিজেন নির্গত হয়, তার কিছু অংশ শ্বসনের কাজে লাগে, আবার, শ্বসনের ফলে উৎপন্ন কার্বন ডাই-অক্সাইডের কিছুটা সালোকসংশ্লেষের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
**Q. 4. দহন ও শ্বসনের মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লেখ। (পঃমাধ্যমিক 1980, 91) * অথবা, শ্বসন ও দহনের ভিতর তিনটি মৌলিক পার্থক্য নির্দেশ কর।
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 2002)
Ans. (i) দহন একটি অজৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া এবং শ্বসন একটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। (ii) দহনে আলো এবং তাপ দুইই উৎপন্ন হয় এবং শ্বসনে কেবল তাপ উৎপন্ন হয়। (iii) দহনে উৎপন্ন শক্তি কোথাও সঞ্চিত হয় না, সবটুকুই পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং শ্বসনে উৎপন্ন শক্তি সাময়িকভাবে ATP অণুর মধ্যে সঞ্চিত হয়।
*Q. 5. কোহল সন্ধান কী?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1989)
Ans. যে প্রক্রিয়ায় ঈস্ট দেহ থেকে নিঃসৃত উৎসেচকের প্রভাবে গ্লুকোজ দ্রবণ বিশ্লিষ্ট হয়ে ইথাইল অ্যালকোহল ও কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়, ফলে দ্রবণটি গেঁজে ওঠে তাকে কোহল
সন্ধান বলে।
**Q. 6. অবাত ও সবাত শ্বসনের দুটি পার্থক্য উল্লেখ কর। (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1998, ত্রিপুরা মাধ্যমিক 1994)
Ans. (i) অবাত শ্বসনে মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় না, কিন্তু সবাত শ্বসনে মুক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। (ii) অবাত শ্বসনে গ্লুকোজের অসম্পূর্ণ জারণ হয়, কিন্তু সবাত শ্বসনে গ্লুকোজের সম্পূর্ণ জারণ হয়।
Q. 7. সালোকসংশ্লেষ এবং শ্বসন পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল কিভাবে?
Ans. (i) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় CO2 গ্যাসের প্রয়োজন, যা শ্বসন ক্রিয়ায় উৎপন্ন হয়; তাই সালোসংশ্লেষ শ্বসনের ওপর নির্ভরশীল। (ii) শ্বসন ক্রিয়ায় গ্লুকোজের প্রয়োজন, যা সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে উৎপন্ন হয়; তাই শ্বসন সালোকসংশ্লেষের ওপর নির্ভরশীল।
 Q. 8. সালোকসংশ্লেষ ও শ্বসন পরস্পর বিপরীতমুখী প্রক্রিয়া কেন? 
Ans. (i) সালোকসংশ্লেষ গঠনমূলক(উপচিতি) বিপাক, কিন্তু শ্বসন ভাঙ্গনমূলক (অপচিতি) বিপাক।
 (ii) সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় CO, গৃহীত হয় এবং O2 বর্জিত হয়, কিন্তু শ্বসনে O2
গৃহীত হয় এবং CO2 বর্জিত হয়।
Q. 9. দহন কাকে বলে?
Ans. যে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোনও দাহ্য বস্তু উৎসেচক ছাড়াই অক্সিজেনের উপস্থিতিতে
জারিত হয়ে তাপ ও আলো উৎপন্ন করে এবং শক্তির দ্রুত মুক্তি ঘটায় তাকে দহন বলে।
Q. 10. শ্বসন কাকে বলে?
Ans. যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোষস্থ খাদ্য জারিত হয়ে খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তি গতীয়
শক্তিতে রূপান্তরিত ও মুক্ত হয় তাকে শ্বসন বলে।
Q. 11. শ্বাসকার্য কাকে বলে? 
Ans. যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহে শ্বাস গ্রহণ অর্থাৎ প্রশ্বাস এবং শ্বাস ত্যাগ বা নিঃশ্বাস কার্য
সম্পন্ন হয় তাকে শ্বাসকার্য বলে।
Q. 12. বহিঃশ্বসন কাকে বলে?
Ans. যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শ্বাস অঙ্গ ও পরিবেশের বায়ুর মধ্যে গ্যাসীয় আদান-প্রদান ঘটে তাকে
বহিঃশ্বসন বলে।
Q. 13. অন্তঃশ্বসন কাকে বলে?
Ans. যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোষ-মধ্যস্থ খাদ্য জারিত হয়ে শক্তির মুক্তি ঘটে তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
 Q. 14. অবাত শ্বসন কাকে বলে?
Ans. যে শ্বসন পদ্ধতিতে শ্বসন বস্তু মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে আংশিকভাবে জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও অন্যান্য জৈবযৌগ এবং তাপ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে অবাত শ্বসন বলে।
Q. 15. সবাত শ্বসন কাকে বলে?
 Ans. যে শ্বসন পদ্ধতিতে শ্বসন বস্তু মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে
জল এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তু মধ্যস্থ শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয়।
তাকে সবাত শ্বসন বলে।
Q. 16. সন্ধান কাকে বলে?
Ans. যে শ্বসন পদ্ধতিতে শ্বসন বস্তু অক্সিজেন ছাড়াই অনুঃজীব নিঃসৃত উৎসেচকের সাহায্যে জারিত হয়ে বিভিন্ন জৈব যৌগ (ইথাইল অ্যালকোহল, ল্যাকটিক অ্যাসিড ইত্যাদি) উৎপন্ন করে এবং শ্বসন বস্তু থেকে শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে তাকে সন্ধান বা ফারমেনটেশন বলে। 
*Q. 17. শ্বাসমূল কাকে বলে?
*অথবা, শ্বাসমূল কী? এটি কোন্ উদ্ভিদে দেখা যায় ? (ত্রিপুরা মাধ্যমিক 2002)
 Ans. লবণাম্বু উদ্ভিদের শাখা-প্রশাখা মূল মাটির ওপরে উঠে এসে লম্বভাবে অবস্থান করে এবং বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণ করে । এই রকম মূলকে শ্বাসমূল বলে।
সুন্দরী গাছে এই প্রকার মূল দেখা যায়।
Q. 18. কমপেনসেশন পয়েন্ট বা ক্ষয়পূরণ বিন্দু বা ক্ষয়িষ্ণু বিন্দু কাকে বলে? 
Ans. যে সময়ে উদ্ভিদের CO2 গ্রহণ (সালোকসংশ্লেষের জন্য) এবং CO2 বর্জন (শ্বাসনের জন্য) সমান হয় তাকে কমপেনসেশন পয়েন্ট বা ক্ষয়পূরণ বিন্দু বা ক্ষয়িষ্ণু বিন্দু বলে। ঊষাকালে এবং গোধূলিতে উদ্ভিদের CO2 গ্রহণ ও বর্জনের হার একই থাকে।
Q. 19. গ্লাইকোলাইসিস কাকে বলে?
(ত্রিপুরা মাধ্যমিক 1999)
Ans. যে প্রক্রিয়ায় কয়েক রকম উৎসেচকের প্রভাবে গ্লুকোজ কোষের সাইটোপ্লাজমে আংশিকভাবে জারিত হয়ে পাইরুভিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে তাকে গ্লাইকোলাইসিস বলে।
Q. 20. E.M.P পথ কাকে বলে?
Ans. গ্লুকোজ থেকে পাইরুভিক অ্যাসিড উৎপন্ন হওয়ার পথটিকে অর্থাৎ গ্লাইকোলাইসিস। বিজ্ঞানী এম্বডেন, মেয়ারহফ এবং পারনেসের নামানুসারে E.M.P পথ বলে। 
Q. 21. ক্রেবস চক্র কাকে বলে?
 Ans. যে প্রক্রিয়ায় পাইরুভিক অ্যাসিড মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে অক্সিজেনের প্রভাবে সম্পূর্ণরূপে
জারিত হয়ে জল, কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং তাপশক্তি উৎপন্ন করে তাকে ক্রেবস্ চক্র বলে।
Q. 22. T.C.A চক্র কাকে বলে?
Ans. ক্রেবস্ চক্রের প্রথম উৎপন্ন পদার্থ হল সাইট্রিক অ্যাসিড। সাইট্রিক অ্যাসিড তিনটি
কার্বক্সিল বর্গ নিয়ে গঠিত হওয়ায় ক্রেবস্ চক্রকে T.C.A চক্র বলে।
*Q. 23. মাইটোকনড্রিয়া কোথায় অবস্থিত এবং এর কাজ কী? (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 
Ans. মাইট্রোকনড্রিয়া সমস্ত আদর্শ কোষের সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত।
মাইটোকনড্রিয়ার প্রধান কাজ হল কোষীয় শ্বসনের মাধ্যমে খাদ্যস্থ স্থৈতিক শক্তিকে ব্যবহারোপযোগী শক্তিতে রূপান্তরিত করা।
***Q.24. মাইে ট্রয়াকে কোষের শক্তি বলে কেন? (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক (বহিঃ) 2001, ত্রিপুরা মাধ্যমিক 1992, 1995)
Ans. মাইটোকন্ড্রিয়ার মধ্যে শ্বসনের ক্রেবস্ চক্রটি ঘটে এবং খাদ্যস্থ হৈতিক শক্তি গতীয় শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং ATP সংশ্লেষিত হয়। এই ATP বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে প্রয়োজনীয় শক্তির যোগান দেয়। তাই মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলে।
 Q. 25. শ্বসনকে অপচিতি বিপাক বলে কেন?
*অথবা, শ্বসনকে কেন একটি অপচিতি বিপাক ক্রিয়া বলা হয়? (ত্রিপুরা মাধ্যমিক 1999) 
Ans. শ্বসনের ফলে জটিল শ্বসনবস্তু জারিত হয়ে সরলতম অংশে বিশ্লিষ্ট হয় এবং জীবদেহে শক্তির মুক্তি ঘটে তাই জীবদেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়। এই কারণে শ্বসনকে অপচিতি বিপাক বলে।
Q. 26. বহিঃশ্বসন ও অন্তঃশ্বসনের মধ্যে দুটি পার্থক্য কী কী?
Ans. (i) বহিঃশ্বসন কোষের বাইরে ঘটে এবং এটি যান্ত্রিক প্রক্রিয়া, কিন্তু অন্তঃশ্বসন কোষের মধ্যে ঘটে এবং এটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া। (ii) বহিঃশ্বসনে শক্তি উৎপন্ন হয় না, কিন্তু
অন্তঃশ্বসনে শক্তি উৎপন্ন হয়।
Q.27. প্রশ্বাস ও নিঃশ্বাস কার্য বলতে কী বোঝ? গাছ নিঃশ্বাস প্রশ্বাস কার্য করতে পারে কি? 
Ans. যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহে শ্বাসবায়ু গৃহীত হয় তাকে প্রশ্বাস এবং যে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহ থেকে শ্বাসবায়ু ত্যাগ করা হয় তাকে নিঃশ্বাস বলে। (প্রশ্বাস ক্রিয়ায় শ্বাসপেশীগুলি সঙ্কুচিত অবস্থায় এবং নিঃশ্বাস ক্রিয়ায় শ্বাসপেশীগুলি শিথিল অবস্থায় থাকে।) গাছ শ্বসন ক্রিয়া চালাতে পারলেও নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস কার্য করতে পারে না।
Q. 28. সবুজ উদ্ভিদের দিনের বেলায় CO2 গ্যাস উৎপন্ন হয় কি? তোমার উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দাও। 
Ans. গাছ দিনের বেলায় CO2 গ্যাস উৎপন্ন করে কারণ গাছের প্রতিটি সজীব কোষে দিনের
বেলায় শ্বসন ক্রিয়া চলে, ফলে CO2 গ্যাস উৎপন্ন হয়।
Q. 29. পেশীর ক্লান্তি কী? কী করলে এই ক্লান্তি দূরীভূত হয়?
 Ans. অতিরিক্ত পরিশ্রমের সময়পেশী কোষে অবাত শ্বসন ঘটায় পেশী কোষে ল্যাকটিক অ্যাসিড সঞ্চিত হয়, ফলে
পেশী অবসন্ন হয়ে পড়ে, একে পেশীর ক্লান্তি বলে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলে পেশী কোষ থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড সরে যায়, ফলে পেশী পুনরায় সক্রিয় হয় এবং পেশীর ক্লান্তিও দূর হয়।
 Q. 30. লেন্টিসেল কাকে বলে?
 Ans. বৃক্ষ ও গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকের বিদীর্ণ কিউটিকবিহীন স্থানকে লেন্টিসেল বলে।
*Q. 31. নিউমাটোফোর কী? (ত্রিপুরা মাধ্যমিক 1999) 
Ans. সুন্দরী, গেও, গরাণ প্রভৃতি লবণাম্বু উদ্ভিদের কিছু শাখা-প্রশাখা মূল অভিকর্ষের বিপরীতে খাড়াভাবে মাটির ওপরে উঠে এসে বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। ওই রকম মূলকে শ্বাসমূল বলে। শ্বাসমূলে উপস্থিত রন্ধ্র বা ছিদ্রগুলিকে বলে নিউমাটোফোর। 
Q. 32. ভোকাল স্যাক কী?
Ans. পুরুষ কুনো ব্যাঙের গলদেশে যে কালো রঙের স্বরথলি স্বর সৃষ্টিতে সাহায্য করে, তাকে
ভোকাল স্যাক বলে।
 Q. 33. একটি আরশোলার দুপাশে ভেসলিনের প্রলেপ দিয়ে ছেড়ে দিলে তার কোন জৈবিক
কাজটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং কেন?
Ans. আরশোলাটি শ্বাসকার্য চালাতে পারবে না, কারণ তার দেহের দু'পাশে অবস্থিত শ্বাসরন্ধ্রগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
 
Q. 34. একটি দ্বিবীজপত্রী (বিষমপৃষ্ঠ) উদ্ভিদের সব পাতাগুলির ভেসলিনের প্রলেপ
দিয়ে দিলে গাছটিতে কী অসুবিধা দেখা দেবে? অনুরূপ পরীক্ষা যদি একটি ধানগাছের পাতার উপর করা হয় তাহলে তার কী অসুবিধা হবে? 
Ans. গাছটির সালোকসংশ্লেষ, শ্বসন এবং বাষ্পমোচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে কারণ দ্বিবীজপত্রী
উদ্ভিদের পাতার নিম্নত্বকেই সাধারণত পত্ররন্ধ্রগুলি থাকে। পত্ররন্ধ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপরোক্ত
জৈবিক ক্রিয়াগুলি ব্যাহত হবে। ধানগাছের ক্ষেত্রে বিশেষ অসুবিধা হবে না, কারণ ওই গাছের পাতার উভয় ত্বকেই পত্ররন্ধ্র থাকে।
 Q. 35. যদি একটি রুইমাছের উভয় চোয়ালের মধ্যে একটি কাঠি লাগিয়ে মুখটিকে হাঁ করিয়ে
জলে ছেড়ে দেওয়া হয় মাছটির কী অসুবিধা হবে?
Ans. মাছটির শ্বাসকার্যে অসুবিধা হবে কারণ এরা মুখ দিয়ে জল গ্রহণ করে কানকো দিয়ে বার করে, তাই মুখটিকে সব সময় খোলে এবং বন্ধ করে। কিন্তু মুখ বন্ধ না করতে পারলে জল গ্রহণ
ও ত্যাগ করতে পারবে না, ফলে শ্বাসকার্য করতে পারবে না।
Q. 36. একটি কই মাছকে অনেকক্ষণ জলের নীচে ডুবিয়ে রাখলে তার কী অসুবিধা হবে?
Ans. কই মাছটি বায়ু থেকে শ্বাসগ্রহণ করতে না পেরে মারা যাবে, কারণ কই মাছ ফুলকা ছাড়াও অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে বায়ু থেকে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহণ করে।
 Q. 37. একটি সজীব উদ্ভিদ কোষ থেকে সমস্ত মাইটোকন্ড্রিয়াগুলিকে অপসারণ করলে
কোষটির কী ক্ষতি হবে? 
Ans. মাইটোকন্ড্রিয়া না থাকলে কোষে শ্বসন ক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে না, ফলে শক্তি উৎপন্ন হবে না। শক্তি সরবরাহের অভাবে কোষের বিপাকীয় ক্রিয়াগুলি ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে কোষটির মুত্য ঘতবে।

*Q. 38. কেন্দ্রীয় শ্বসন বলতে কী বোঝ? এ থেকে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ কত?
(ত্রিপুরা মাধ্যমিক 2001)
Ans. সজীব কোষে সংঘটিত সবাত শ্বসনের গ্লাইকোলাইসিস ও ক্রেস চক্রের পর্যায়দুটিকে একত্রে কেন্দ্রীয় শ্বসন বলে। এ থেকে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ হল 686 Kcal


* [E] অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন :
[প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
*Q1. সবাত শ্বসন হয় না এরূপ একটি জীবের উদাহরণ দাও। (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1997) 
Ans. ঈস্ট (ছত্রাক), কৃমি, মনোসিস্টিস (অন্তঃপরজীবী প্রাণী)।
 *Q^2. কোন প্রাণীর ‘ত্বক প্রধান শ্বসন অঙ্গের কাজ করে? (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1995)
Ans. কেঁচো।
**Q. 3. আরশোলার শ্বাস অঙ্গের নাম কী? (পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1997, ত্রিপুরা 1999)
Ans. ট্রাকিয়া।
 *0.4. শ্বসন কী জাতীয় বিপাকক্রিয়া?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1996)
Ans. অপচিতি বিপাক ক্রিয়া।
*Q. 5. অবাত শ্বসন কোষের কোথায় ঘটে?
(পশ্চিমবঙ্গ 1993)
Ans. কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে।
*Q. 6. মাইটোকনড্রিয়ার প্রধান কাজ কী? 
Ans. কোষীয় শ্বসন (বিশেষত ক্রেবস চক্র) পরিচালনার মাধ্যমে ATP উৎপাদন ও শক্তির
নির্গমন।
*Q. T. কোন প্রাণীর প্রধান শ্বাস অঙ্গ 'ত্বক'?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1991)
Ans. কেঁচো।
*Q 8. ব্যাঙাচির শ্বাসযন্ত্রের নাম কী?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1987)
Ans. ফুলকা (বহিঃ ফুলকা ও অন্তঃফুলকা)।
*Q.9. দুটি অঙ্গের নাম কর যা প্রাণীর শ্বাসকার্যে সাহায্য করে। (পশ্চিমবঙ্গমাধ্যমিক 1987)
Ans. ফুসফুস ও ফুলকা।
*Q 10. সবাত শ্বসনের প্রধান দুটি পর্যায়ের নাম কর।
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1984)
Ans. গ্লাইকোলাইসিস এবং ক্রেবস্ চক্র।
*QH. E.M.P.-র পুরো নাম কী?
Ans. এম্বডেন, মেয়ারহফ এবং পারনেস্।
*O. 12- একটি প্রাণীর নাম কর যা জল ও বায়ু উভয় পরিবেশেই শ্বাসকার্য করতে পারে?
(পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক 1981)
Ans. কই মাছ।
*Q. 13. কোন্ উদ্ভিদে শ্বাসমূল আছে?
Ans. সুন্দরী।
Q. 14. শূন্যস্থান পূরণ করে সমীকরণটি সম্পূর্ণ কর। C6H1206 + 602 + 6H20 + 686 Keal শক্তি।
Ans. C6H1206 + 602 → 6CO2 + 6H2O + 686Kcal শক্তি।
 Q. 15. নিম্নলিখিত রাসায়নিক বিক্রিয়াটি কোথায় এবং কখন ঘটে?
C6H1206 → 2C H 50H + 2CO2 + 50 Kcal শক্তি।
Ans. ঈস্ট নামে একধরনের এককোষী ছত্রাকে সন্ধান ক্রিয়ার সময় ঘটে।
Q. 16. প্রাণীদের দুটি শ্বাস পেশীর উদাহরণ দাও। 
Ans. মধ্যচ্ছদা ও পঞ্জরমধ্যক (ইন্টারকোস্টাল) পেশী।
Q-17 শ্বসন জীবদেহের কোথায় এবং কখন ঘটে? 
Ans. কোষীয় শ্বসন প্রত্যেক সজীব কোষে দিবারাত্র ঘটে।
Q 18. কোন্ কোষ-অঙ্গাণু শ্বসন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে? *অথবা, কোষস্থিত কোন্ সুনির্দিষ্ট অঙ্গাণুর মধ্যে শ্বসন কার্য সম্পন্ন হয়।
Ans. মাইটোকন্ড্রিয়া।
*Q. 19 একটি সজীব কোষের সকল মাইটোকন্ড্রিয়াগুলি নষ্ট হয়ে গেলে কোন্ কাজটি সম্ভব
হবে না?
Ans. কোষীয় শ্বসন (ক্রেবস্ চক্র) ক্রিয়া সম্ভব হবে না।
 Q. 20. কোষের মুখ্য শ্বসন বস্তু কোনটি?
Ans. গ্লুকোজ।
21.এক গ্রাম অণু গ্লুকোজ সম্পূর্ণরূপে জারিত হলে কত কিলো ক্যালোরি তাপশক্তি উৎপন্ন
হয়?
Ans. 686 Kcal.
22. TCA চক্রের পুরো নাম কী?
 Ans. ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র।
Q. 23. সবাত ও অবাত শ্বসনের সাধারণ পর্যায়টি কী?
Ans. গ্লাইকোলাইসিস।
Q. 24. বায়ুশূন্য স্থানে শ্বাসকার্য চালাতে পারে এমন একটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর উদাহরণ দাও।
Ans. (i) উদ্ভিদ → ঈস্ট। (ii) প্রাণী → মনোসিটিস।
Q. 25. কোন্ জীবদেহে কোহল সন্ধান ঘটে? 
Ans. ঈস্ট নামক এককোষী ছত্রাকের দেহে।
Q.26-বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের মূল উৎস কী?
Ans. জল (সালোকসংশ্লেষের ফলে উৎপন্ন অক্সিজেন)। 
Q.. কোন্ জৈবিক ক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ?
Ans. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায়।



Shaharuk Islam

Hi I am Shaharuk Islam. I enjoyed in writing articles and spread knowledge cross over the internet.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ad

Magspot Blogger Template

Ad

amazon.in
amazon.in

نموذج الاتصال