![]() |
মাছের উপকারী উপাদান শরীরে যেভাবে কাজ করে |
মাছের পুষ্টিগুণ (Nutritive Value)
মাছ অতি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সুখাদ্য। এর প্রোটিন সহজপাচ্য। মাছের দেহে নানা খনিজলবণ (Minerals), পৌষ্টিক পদার্থ (Amino acid, vitamins) আছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই দরকারি। মাছের শতকরা ৭০-৮০ ভাগ জল, আমিষ (Protein) শতকরা ১৪-২০ ভাগ, স্নেহ (fat) শতকরা ০.৩--১৭ ভাগ যা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ (Unsaturated fatty acid), যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। শর্করা (Carbohydrate) প্রায় নেই, এছাড়া পরিমাণ মতো খনিজ লবণ (Minarels), ভিটামিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড বর্তমান। মাছ উচ্চমানের প্রোটিনের উৎস, যাতে অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড (Amino acid) যথা-লাইসিন (Lysine), ট্রিপটোফ্যান (Triptophan ) ও মিথিওনাইন (Methionine) অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী থেকে বেশি পরিমাণে থাকে। এগুলি শিশুর স্বাভাবিক বুদ্ধির অনুকূল। নিউক্লিক অ্যাসিড (Nucleic acid) কম থাকায় গেঁটে বাতরোগীর পক্ষেও গ্রহণযোগ্য।
মাছের ঔষধিগুণ
ক্যান্সার ঠেকায়, ব্রেনের জন্য উপকারী, মাছ মানেই গুণে ভরপুর মাছের তেল ভিটামিন 'A' সমৃদ্ধ, যা বাল্য অন্ধত্ব দূর করে। জলে দ্রবণীয় খাদ্যপ্রাণ (B-complex vitamins) বিশেষ করে ফলিক অ্যাসিড, 'ই' ভিটামিন ও ভিটামিন B12 থাকে। মাছের তেল ওমেগা-৩ (Omega-3) ফ্যাটসমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে করোনারি হার্টডিজিস্ প্রতিরোধ করে। মাছের তেল ইকোসাপেন্টানোইক অ্যাসিড (EPA) ও ডেকোসা হেক্সোনাই অ্যাসিড (DHA) নামক প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে।
![]() |
ময়া মাছ |
মাছ সুস্বাদু, সহজপাচ্য প্রাণীজ প্রোটিন খাদ্য, যা সকলের পক্ষে গ্রহণযোগ্য। এর জৈব শক্তি (Bio-value) ৮০-৯০ ক্যালোরি। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের পুষ্টি জোগাতে ৭০-৮০ গ্রাম, মহিলাদের ৬০ গ্রাম ও শিশুদের ১৫-২০ গ্রাম প্রতিদিন মাছ খাওয়া দরকার। মাছের পুষ্টিগুণ অনেক। আমিষজাতীয় খাদ্যের মধ্যে মাছ সর্বোত্তম। মাংসের আমিষ অধিক হলেও মাংস সহজপাচ্য নয়। তাছাড়া মাছে অন্যান্য পুষ্টিগুণসহ ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, লোহা, আয়োডিনের মতো আণুবীক্ষণিক পৌষ্টিক জীবনদায়ী পদার্থ বর্তমান। আমিষ উপাদানে ২০টি অ্যামাইনো অ্যাসিডের মধ্যে অতি প্রয়োজনীয় নয়টি একসাথে একমাত্র মাছেই পাওয়া যায়।
![]() |
Nutritive Value |