দেহে জীবাণু বা জীবাণুসৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিম ভাবে প্রবেশ করিয়ে ঐ রোগের সাপেক্ষে দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে টীকাকরণ (Vaccination) বলে এবং যে পদার্থকে দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাকে টীকা (Vaccine) বলে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অথবা খাওয়ানোর দ্বারা (যেমন : পোলিও টীকা) প্রতিষেধক টীকা দেহে প্রবেশ করানো হয়। এই টীকা দেহে প্রবেশ করে নির্ধারিত অ্যান্টিবডি গঠনে সাহায্য করে।
টীকা প্রস্তুতির উপায় : টীকা সাধারণত নিম্নলিখিত চার রকমভাবে তৈরি করা হয়, যথা :
- • (i) মৃত জীবাণু : যথা টাইফয়েডের TABC টীকা।
- • (ii) জীবিত কিন্তু শক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত জীবাণু, যথা : যক্ষার BCG টীকা।
- (iii) জীবিত এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক জীবাণু, যথা : গোরুর পক্স ভাইরাসের দ্বারা মানুষের
- স্মল পক্সের টীকাকরণ।
- • (iv) টক্সয়েড টীকা, যথা : ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাসের টীকা। এগুলি হল ব্যাকটিরিয়া
- নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থের নিষ্ক্রিয় অবস্থা।
ভারতের শিশুদের জন্য জাতীয় টীকাকরণ কর্মসূচি হল :বয়স টীকাকরণ
- 3-12 মাস বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল DTP 3 মাত্রা, 4-6 সপ্তাহ পরপর পোলিও (মুখে) 3 মাত্রা, 4-6 সপ্তাহ পরপর BCG (ত্বকে)।
- 9-15 মাস বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল হামের টীকা একবার মাত্র।
- 18-24 মাস বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল DPT-বুস্টার মাত্রা (পোলিও মুখে) বুস্টার মাত্রা।
- 5-6 বছর বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল DT-বুস্টার মাত্রা টাইফায়েড টীকা 2 মাত্রা, 1-2 মাস পর।
- 10 বছর বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল টিটেনাস টক্সয়েড বুস্টার মাত্রা, টাইফয়েড টীকা বুস্টার মাত্রা।
- 16 বছর বয়সে যে টীকাকরণ করতে হয় তা হল টিটেনাস টক্সয়েড বুস্টার মাত্রা, টাইফয়েড টীকা বুস্টার মাত্রা।