গোরা উপন্যাস: রচয়িতা ও তাৎপর্য
গোরা উপন্যাসটি রচনা করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৯ সালে এই অসাধারণ রচনাটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন।
গোরা কেবল একটি উপন্যাস নয়, বরং উনিশ শতকের শেষভাগের বাংলা সমাজের এক জীবন্ত প্রতিকৃতি। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব, জাতীয়তাবাদের উত্থান, ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলন, নারী অধিকার, বর্ণপ্রথা - এই সকল বিষয় গোরা উপন্যাসে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
গোরা উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র গোবিন্দলাল রায়। একজন আইরিশ পরিবারে পালিত গোবিন্দলাল নিজেকে হিন্দু বলে মনে করে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সে জানতে পারে তার আসল পরিচয়।
এই আত্মপরিচয়ের সংকট গোবিন্দলালকে নিয়ে যায় অন্তর্মুখী ভাবনার পথে। জাতীয়তা, ধর্ম, সমাজ - এই সকল বিষয়ে তার ধারণা পাল্টাতে শুরু করে।
গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল সমস্যা তুলে ধরেননি, বরং সমাধানের দিকেও পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উপন্যাসের শেষে গোবিন্দলাল সকল ভেদাভেদ ভুলে মানবতার কল্যাণে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গোরা উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দার্শনিক চিন্তাভাবনা ও সাহিত্যিক প্রতিভার পরিচয় বহন করে এই উপন্যাস আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।
উপসংহারে বলা যায়:
- গোরা উপন্যাস রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- উনিশ শতকের শেষভাগের বাংলা সমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এই উপন্যাসে।
- আত্মপরিচয়, জাতীয়তা, ধর্ম, সমাজ - এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
- মানবতার কল্যাণ - এই বার্তাই গোরা উপন্যাসের মূল ভাব।
আরও জানতে: