সমুদ্রযাত্রায় নাবিকদের সাহায্য করার জন্য অনেক আবিষ্কার করা হয়েছিল। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার রয়েছে:
দিক নির্ণয়ের যন্ত্র:
- চৌম্বক দিক নির্দেশক: দিক নির্ণয়ের জন্য দিক নির্দেশকের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। 12 শতকে চীনে দিক নির্দেশকের উন্নতি ঘটে এবং 13 শতকে এটি ইউরোপে পরিচিত হয়।
- দিক নির্ণয়ের যন্ত্র: 1600 সালে ডাচ উদ্ভাবক উইলিয়াম বোর্নেল দিক নির্ণয়ের যন্ত্র আবিষ্কার করেন। দিক নির্ণয়ের যন্ত্র দিক নির্দেশকের চেয়ে বেশি সঠিক ছিল এবং এটি নাবিকদের আরও সঠিকভাবে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে সহায়তা করেছিল।
জাহাজের নকশা:
- ক্যারাভেল: 15 শতকে পর্তুগীজরা ক্যারাভেল নামক এক ধরনের জাহাজ তৈরি করে। ক্যারাভেলগুলি দ্রুত এবং চালনা করা সহজ ছিল এবং এগুলি সমুদ্রযাত্রার জন্য আদর্শ ছিল।
- নাউকা: 16 শতকে স্প্যানিশরা গ্যালিয়ন নামক এক ধরনের জাহাজ তৈরি করে। গ্যালিয়নগুলি ক্যারাভেলের চেয়ে বড় এবং শক্তিশালী ছিল এবং এগুলি দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য আরও উপযুক্ত ছিল।
অন্যান্য আবিষ্কার:
- জ্যোতির্বিদ্যা: নাবিকরা তাদের অবস্থান নির্ধারণের জন্য জ্যোতির্বিদ্যা ব্যবহার করত। 18 শতকে, জ্যোতির্বিদ্যার উন্নতি নাবিকদের আরও সঠিকভাবে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।
- মানচিত্র: মানচিত্র নাবিকদের তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে এবং তাদের গন্তব্য খুঁজে পেতে সহায়তা করে। 15 শতকে, মানচিত্র তৈরির উন্নতি নাবিকদের আরও সঠিক মানচিত্র অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে।
- লগ লাইন: লগ লাইন জাহাজের গতি পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 16 শতকে লগ লাইনের উদ্ভাবন নাবিকদের তাদের জাহাজের গতি আরও সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সহায়তা করে।
এই আবিষ্কারগুলি নাবিকদের আরও নিরাপদে এবং আরও দক্ষতার সাথে সমুদ্র ভ্রমণ করতে সহায়তা করে। এর ফলে অনুসন্ধান এবং বাণিজ্যের যুগের সূচনা ঘটে।