অধিকাংশ মাছ জল থেকে বের আনলে যবে যায় কারণ তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য জল প্রয়োজন। মাছ তাদের ফুলকা দিয়ে জল থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। জল থেকে বের করে আনলে, মাছের ফুলকা শুকিয়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না।
এছাড়াও, মাছের দেহের ত্বকের মাধ্যমেও কিছু অক্সিজেন গ্রহণ করা হয়। জল থেকে বের করে আনলে, মাছের ত্বক শুকিয়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে না।
ফলে, জল থেকে বের করে আনলে অধিকাংশ মাছ অক্সিজেনের অভাবে যবে যায়।
অন্যান্য কারণ:
- জলের অভাব: মাছের দেহের বেশিরভাগ অংশ জল দিয়ে তৈরি। জল থেকে বের করে আনলে, মাছের দেহ থেকে জল শুকিয়ে যায় এবং মাছ শুকিয়ে যায়।
- তাপমাত্রার পরিবর্তন: জলের তাপমাত্রা মাছের দেহের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। জল থেকে বের করে আনলে, মাছের দেহের তাপমাত্রা দ্রুত পরিবর্তিত হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
- চাপের পরিবর্তন: জলের চাপ মাছের দেহের উপর সামঞ্জস্যপূর্ণ চাপ প্রয়োগ করে। জল থেকে বের করে আনলে, মাছের দেহের উপর চাপ দ্রুত পরিবর্তিত হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
কিছু মাছ জল থেকে বের করে আনার পরও কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে।
কারণ:
- এই মাছগুলোর শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য জলের উপর নির্ভরতা কম।
- এই মাছগুলোর দেহের ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে।
- এই মাছগুলো তাপমাত্রা এবং চাপের পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারে।
উদাহরণ:
- টেংরা: টেংরা মাছ জল থেকে বের করে আনার পরও কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে কারণ এদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য জলের উপর নির্ভরতা কম। টেংরা মাছের ফুলকার পাশাপাশি, এদের দেহের ত্বকের মাধ্যমেও অক্সিজেন গ্রহণ করা হয়।
- গেই: গেই মাছ জল থেকে বের করে আনার পরও কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে কারণ এদের দেহের ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকে। গেই মাছের দেহের ত্বকের উপরে শ্লেষ্মা থাকে যা ত্বককে শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।