ভারতের সংবিধানের ৩৫২ ধারায় দেশে যুদ্ধ বা বহিঃশত্রুর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা জারি করার কথা বলা হয়েছে।
ধারা ৩৫২:
- (১) যদি রাষ্ট্রপতি মনে করেন যে ভারতের নিরাপত্তা বা ভারতের কোন অংশের নিরাপত্তা যুদ্ধ, বাহ্যিক আক্রমণ বা সশস্ত্র বিদ্রোহ দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তাহলে তিনি ঘোষণা করতে পারেন যে, gehele দেশে বা ভারতের কোন অংশে জরুরি অবস্থা বিদ্যমান।
- (২) ধারা (১) অনুযায়ী ঘোষণা
জারির পর, যতদিন না জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়, ততদিন রাষ্ট্রপতি
নিম্নলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন:
- কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারবে।
- মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যেতে পারে।
- সংসদ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য তালিকার বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
জরুরি অবস্থা কতদিন জারি থাকতে পারে?
- ধারা ৩৫২ (৩) অনুযায়ী, জরুরি অবস্থা প্রথমে ছয় মাসের জন্য জারি করা যেতে পারে।
- এরপর সংসদের অনুমোদন সাপেক্ষে আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
- জরুরি অবস্থা সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য জারি থাকতে পারে।
জরুরি অবস্থা জারির কিছু উদাহরণ:
- ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সময় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
- ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
- ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী সরকার দ্বারা অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের অজুহাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থা একটি বিতর্কিত বিষয়। কেউ কেউ মনে করেন এটি একটি প্রয়োজনীয় হাতিয়ার যা দেশকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যদিকে, কেউ কেউ মনে করেন এটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ।