তিলাপিয়া (Tilapia) :
উৎস (Source) : তিলাপিয়ার আদি বাসভূমি আফ্রিকা। 1952 সালে সর্বপ্রথম ব্যাংকক থেকে আমাদের দেশে পরীক্ষামূলক চাষের জন্য আনা হয়। বর্তমানে ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এদের ব্যাপক চাষ হচ্ছে।বৈজ্ঞানিক নাম (Scientific name) : পশ্চিমবঙ্গে প্রধানত দুই ধরনের তিলাপিয়ার চাষ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে
এদের বৈজ্ঞানিক নাম Tilapia (=Oreochromis) mossambica এবং Oreochromis niloticus
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায় যে এরা কার্প জাতীয় মাছ নয়, ভেটকি মাছের ন্যায় পারসিফরমিস বর্গভুক্ত (Order : Perciformes) বিদেশাগত মাছ।
বৈশিষ্ট্য (Features) :
- (i) মোসাম্বিকা প্রজাতিটির দেহ ধূসর খয়েরি বা কালচে রঙের হয়। নাইলোটিকাস প্রজাতির দেহ হালকা ধূসর রং-এর এবং তাতে ডোরাকাটা দাগ থাকে।
- (ii) দেহ গঠন অনেকটা কই মাছের ন্যায় তবে মস্তকটি চ্যাপ্টা ও ছুঁচালো এবং লেজের পাখনা অর্ধচন্দ্রাকার।
- (iii) শৈশবকালে শ্যাওলা, ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ও জুপ্ল্যাঙ্কটন খায়।
- (iv) পরিণত অবস্থায় শাকাশী কিন্তু খাদ্যাভাবে এরা সর্বভুক।
- (v) তিলাপিয়ার বিশেষত্ব হল এদের যে-কোনো জলাশয়ে (স্বাদু জলে, অল্প লবণাক্ত জলে কিম্বা সমুদ্র জলে) চাষ করা যায় এবং সকল প্রকার জলাশয়ে এরা প্রজনন সম্পন্ন করে থাকে।
- (vi) দ্রুতবৃদ্ধি সম্পন্ন তিলাপিয়া খেতে সুস্বাদু, কাঁটা কম এবং তুলনামূলকভাবে দাম কম হওয়ায় একে ‘জলের মুরগি’ (chicken of water) বলা হয়।
- (vii) অত্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন খাদ্যাভাসের জন্য মিশ্র মাছ চাষে এরা অনুপযুক্ত।
প্রয়োজনে আমাদের হ্যাচারিতে যোগাযোগ করতে পারেন,আমাদের হ্যাচারীতে পুকুরচাষের যাবতীয় ডিমপোনা ও চারাপোনা পাওয়া যায়। ৮৩৪৩৮৮৯৪২৪(মিটু)৮৫১৪০২৯১৫৪,৭৫৫০৮৭২৪৮৪(শাহারুক)
Google map https://goo.gl/maps/4qUunMF1h5oy8SMw6