Some common fish diseases, symptoms and their remedies(চাষযোগ্য মাছের কতিপয় সাধারণ রোগ, রোগ-লক্ষণ ও তাদের প্রতিকার)


   (Some common fish  diseases, symptoms and their remedies)


জলাশয়ের জল এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের নানান কারণে মাছের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এই ব্যাপারে সজাগ না থাকলে মাছ চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। মাঝে মাঝে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, রোগাক্রান্ত হয়েছে কিনা দেখে নেওয়া, রোগ-লক্ষণ দেখে রোগের কারণ ও তার প্রতিকার করা অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। মাছের স্বাস্থ্যহানি প্রধানত দুটি কারণে হয়ে থাকে। (i) অপুষ্টি বা খাদ্যাভাব জনিত কারণ (Nutritional deficiency) 
এবং (ii) জীবাণু ও পরজীবী কর্তৃক সৃষ্টি রোগ (Diseases created by pathogens and parasites ) । 
সুষম খাদ্যের অভাবে মাছ অপুষ্টি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের লক্ষণ হল—

  • (i) দেহ রোগা ও লেজ সরু হয়ে যায়।
  •  (ii) মাথা শরীরের তুলনায় অনেক বড়ো হয় 
  • এবং (iii) খাবারের সন্ধানে পুকুরের জলের উপরিতলে ভেসে বেড়াতে থাকে।


  • জীবাণু ও পরজীবী কর্তৃক সৃষ্ট রোগগুলির মধ্যে সচরাচর দেখা যায় এমন কয়েকটি সাধারণ রোগ সংক্রান্ত বিবরণ উল্লেখ করা হল।


ভাইরাসঘটিত রোগ (Viral diseases) :


(i) অগ্নাশয়ের নেক্রোসিসঘটিত রোগ (Infectious Pancreatic Necrosis বা IPN) : 


                   এটি একটি IPN ভাইরাস (এক প্রকার RNA ভাইরাস) আক্রান্ত রোগ। বিদেশি কমন কার্প (Exotic common carp or Cyprinus carp) ও অন্যান্য বিদেশি মাছে এই রোগ দেখা যায়। 


প্রতিকার (Remedy) : এটি সংক্রামিত রোগ এবং এর কোনো ঔষধ নেই

                                    সংক্রামিত নয় এমন ধানিপোনা বা চারাপোনা চাষ করা উচিত।


(ii) ভাইরাল হিমোরাজিক সেপ্টিসিমিয়া (Viral Haemorrhagic Sep ticemia বা VHS) :


                   ইহা একপ্রকার RNA ভাইরাস আক্রান্ত রোগ। দেশি ও বিদেশি কার্প জাতীয় মাছ এই রোগে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ (Symptoms) :  বিবর্ণ ফুলকা, চক্ষু ও উদর ফুলে ওঠা, পেশিতে
                        রসস্ফীতি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়। আক্রান্ত মাছ চলাফেরা ও খাদ্যগ্রহণ বন্ধ

                        করে দেয় এবং মরে যায়।

(iii) চ্যানেল ক্যাট ফিশ ভাইরাল রোগ (Channel Cat fish Viral Disease বা CCVD) : 


                                                                                 এটি Herpes গোত্রের এক প্রকার DNA ভাইরাস আক্রান্ত রোগ। প্রধানত বিদেশী কার্প জাতীয় মাছ এই রোগে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ (Symtoms) : জলের উপরিতলে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করে, বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ক্ষরণ ঘটে, ফুলকা রক্তশূন্য হয়ে পড়ে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গে স্ফীতি দেখা যায়, অবশেষে মরে যায়।


প্রতিকার (Remedy) : সুনির্দিষ্ট ঔষধ নেই, অসংক্রামিত শিশু মাছ বেছে নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জলে চাষ করা বিধেয়।


ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ (Bacterial diseases) :

(i) পুচ্ছ পাখনা পচন বা পাখনা পচন (Tail fin rot or Fin rot) : 

                                                     এটি এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ। বর্তমানে মনে করা হয় যে একাধিক ভিন্ন প্রকৃতির ব্যাকটেরিয়ার (যেমন– Pseudomonas sp., Aeromonas sp., Vibro sp. ইত্যাদি) আক্রমণে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে। দেশী ও বিদেশী কার্পে পাখনা পচন রোগ দেখা যায়।


লক্ষণ (Symptoms) :    

প্রথমে পুচ্ছ পাখনা ও অন্যান্য পাখনার ধারগুলি ছেঁড়া ছেঁড়া হয়ে যায় এবং পরে পাখনার পচন হতে থাকে।

প্রতিকার (Remedy) :

জলাশয়ের মাছ বৃদ্ধির স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। আক্রান্ত মাছকে অ্যান্টিবায়োটিক দ্রবণে (যেমন-Streptomycin অথবা Agrimycin 0.25mg/litre জলে) কিছু সময় ডুবিয়ে রেখে জলাশয়ে ছেড়ে দিতে হবে।



(ii) ফুলকা পচন (Gill rot) :

এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া (Myxococcus piscicola) আক্রমণে মাছের ফুলকা পাতের পচন ঘটে। দেশি ও বিদেশি কার্পের চারাপোনা এই রোগে ভোগে।


লক্ষণ (Symptoms) : 

ফুলকা রক্তহীন হয়ে পড়ে এবং ফুলকা পাত ক্রমশ পড়তে থাকে। মাছের বিশেষত চারাপোনা অবস্থায় মড়ক দেখা দেয়।

প্রতিকার (Remedy) :

সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী 30%-40% ক্লোরিনযুক্ত ব্লিচিং পাউডার (4 kg/hectare) পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং পুকুরে চারাপোনা চাষের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। 


(iii) উদরী ড্রপসি (Abdominal Dropsy) :

 Aeromonas hydrophila নামক ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক সৃষ্ট এই রোগ সম্পর্কে নানা মত পোষণ করা হয়। অনেকের মতে, এর কারণ এক ধরনের ভাইরাসের (র‍্যাবডোভাইরাস) সংক্রমণ। পরবর্তীকালে Aeromonas hydrophila-র গৌণভাবে আক্রমণের ফলে মাছের ড্রপসি রোগ হয়। কার্প জাতীয় মাছেদের ক্ষেত্রে এই রোগ প্রায়শ দেখা যায়।


লক্ষণ (Symptoms) : উদরে হলদেটে বা বাদামি রং-এর জলীয় পদার্থের সঞ্চয়ের ফলে উদর ফুলে ওঠে। যকৃৎ, অস্ত্র ও বৃক্কের স্ফীতি ঘটে। পাখনা ঘসে পড়ে এবং মাছটি মরে যায়।


প্রতিকার (Remedy) : সালফোনামাইড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগে কিংবা 20% পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে কয়েক মিনিট ডুবিয়ে পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। এছাড়া টেট্রাসাইক্লিন বা টেট্রামাইসিন (0.8ug/ml) প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়।



প্রোটোজোয়াঘটিত রোগ (Protozoan diseases) :


(i) ইকথিওবডোসিস (Ichthyobodosis) : 

                                                               Ichthyobodo necatrix নামক ফ্ল্যাজেলেট প্রোটোজোয়ার আক্রমণে মাছের ত্বকে এই রোগ দেখা দেয়। কার্প জাতীয় মাছেরা সাধারণত শীতকালে উক্ত পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।


লক্ষণ (Symptoms) : 

ত্বকের ওপরে পুরু শ্লেষ্মার স্তর, লেজ অঞ্চলে ক্ষতস্থান লক্ষ করা যায় ও লালচে ছোপ পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত ফুলকা, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি লক্ষণও দেখা যায়। (পূর্বে এটি Costiasis নামে পরিচিত ছিল)।


(ii) ইকথিওথাইরিয়াসিস (Ichthyophthiriasis) : 

                                                                         Ichthyophthirius multifils নামক একপ্রকার সিলিয়েট প্রোটোজোয়া মাছের ত্বককে আক্রমণ করে এই রোগ সৃষ্টি করে। এই পরজীবীর ব্যাপ্তি পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে।


লক্ষণ (Symptoms) : 

প্রধানত মাছের ত্বক, পাখনা প্রভৃতি আক্রান্ত হয় এবং মাছেরা পুকুরের তলদেশে দেহ ঘষতে থাকে। ত্বকে সাদা চাকা চাকা দাগ (চারাপোনা অবস্থায়) বা সাদা সাদা স্পট (পরিণত অবস্থায়) দেখা যায়। পরজীবীর অত্যধিক সংক্রমণ ঘটলে ত্বকের রক্তজালক, ফুলকার রক্তজালক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং মাছ মরে যায়।


প্রতিকার (Remedy) : 

পুকুরে মাছের সংখ্যাগত ঘনত্ব নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখতে হবে। ব্রিলিয়ান্ট গ্রিন বা ক্রিস্টাল ভায়োলেট নামক রাসায়নিক পাউডার 0.2 mg/litre জলে গুলে আক্রান্ত মাছকে ওই দ্রবণে বেশ কিছু সময় রেখে দিলে উপকার পাওয়া যায়। সর্বপরি দূষণমুক্ত ও সামান্য ক্ষারীয় জলে (pH 8.5) মাছ চাষ বাঞ্ছনীয়।


 ছত্রাক সৃষ্ট রোগ (Fungal diseases) :


(i) ব্র্যাঙ্কিওমাইকোসিস (Branchiomycosis) : 

                                                                       Branchiomyces san guinis এবং B. demigrans নামক ছত্রাকের আক্রমণে এই রোগ হয়। সাধারণ কার্প, ক্যাট ফিশ প্রভৃতি মাছের অতি পরিচিত ফুলকা পচন (Gill rot) রোগ

এইরূপ ছত্রাকের দ্বারা হয়ে থাকে। ওই সব ছত্রাক ফুলকার মধ্যে হাইফি (hyphae) ছড়িয়ে ফুলকা থেকে খাদ্যরস শোষণ করে বেড়ে ওঠে।
লক্ষণ (Symptoms) : 

                               আক্রান্ত মাছের ফুলকা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমে ফুলকায় সাদা সাদা ছোপ দেখা দেয়, ক্রমে ফুলকা রক্তশূন্য হয়ে সাদাটে হয়ে যায়। পরিশেষে ফুলকা পচন ও মাছের মৃত্যু ঘটে।

প্রতিকার (Remedy) : পুকুরে অতিমাত্রায় ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের বৃদ্ধি (Phy toplankton bloom) যাতে না ঘটে তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। জলকে জৈব আবর্জনা জনিত দূষণ মুক্ত রাখা উচিত। জলের ক্ষারত্ব (pH 9 বা তার কম) যথাযথ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনমতো কলিচুন (200kg/ hectare) ছড়াতে হবে এবং জলে অক্সিজেনের ঘনত্ব বাড়াতে হবে।


(ii) স্যাপ্রোলেগনিয়াসিস (Saprolegniasis) : 

                                                               Saprolegina fexax, S. diclina প্রভৃতি ছত্রাক মাছের ত্বককে আক্রমণ করে এই রোগ সৃষ্টি করে। কার্প জাতীয় মাছের মধ্যে এহেন রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা যায়।


প্রতিকার (Remedy) : পুকুরে জৈব পদার্থের আধিক্য যাতে না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। মাছের দেহে কোনো ক্ষত সৃষ্টি না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। রোগাক্রান্ত মাছকে নানাবিধ রাসায়নিক বস্তুর দ্রবণে ডুবিয়ে রাখলে উপকার পাওয়া যায়। যেমন – 1% পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দ্রবণে এক ঘণ্টা অথবা 10% লবণ জলে 20 মিনিট ডুবিয়ে রাখার পর পরিচ্ছন্ন জলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    কৃমি কর্তৃক সৃষ্ট রোগ (Worm diseases)  

 লক্ষণ (Symptoms) : প্রারম্ভিক পর্বে কৃমির লার্ভা দশা মাছের দেহতল সংলগ্ন হয় এবং পরে ফুলকাতে এসে জমা হয়। ফুলকা বিবর্ণ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিকার (Remedy) : পুকুরের তাপমাত্রা, pH ইত্যাদি সঠিক রাখা, পুকুরের তলদেশের অঞ্চল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। আক্রান্ত মাছকে অ্যামোনিয়া দ্রবণে (25% অ্যামোনিয়ার 2ml, এক লিটার জলে মিশ্রিত দ্রবণ) প্রায় এক মিনিট ডুবিয়ে রাখলে সুফল পাওয়া যায়।

          সন্ধীপদ প্রাণী কর্তৃক সৃষ্ট আরগুলোসিস (Argulosis created by Arthropods) 

সাধারণ কথায় ‘মাছের উকুন' বা আরগুলাস (Argulas sp.) প্রায় সব ধরনের মাছের মারাত্মক ক্ষতিকারক সন্দ্বীপদ প্রাণী (Arthropods ) । এরা বহিঃপরজীবী হিসাবে মাছের ত্বকে লেগে থাকে। ত্বকে গর্ত করে ও রক্ত শোষণ করে বেড়ে ওঠে। দেহত্বকের নানাস্থানে গোলাকার ক্ষত দেখা যায় ও গর্তের সৃষ্টি হয়। ক্ষতস্থান থেকে শ্লেষ্মা, রক্ত বেরিয়ে আসে। আরগুলাস প্রধানত চারামাছদের বেশি ক্ষতি করে।
সন্ধীপদ প্রাণী কর্তৃক সৃষ্ট আরগুলোসিস

প্রতিকার (Remedy) : মাছ চাষ শুরু করার পূর্বে পুকুরটি রোদে সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিতে হবে এবং চুন প্রয়োগ করতে হবে। আক্রান্ত মাছকে 0.1% পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMNO.) দ্রবণে বুরুশ ডুবিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা কিংবা ওই দ্রবণে আধঘণ্টা রাখলে পরজীবী মরে যায় এবং মাছের থেকে খসে পড়ে।

    মাছের মড়ক (Mass mortality of fishes) 

সীমিত স্থানে মাছের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, জলাশয়ে খাদ্যাভাব, অক্সিজেনের অভাব, বিষাক্ত গ্যাসের উৎপত্তি, নানাবিধ ভৌত ও রাসায়নিক প্রতিকূল পরিবর্তনের ফলে একসঙ্গে অনেক মাছ মরে ভেসে ওঠে। এই ঘটনাকে মাছের মড়ক লাগা বলে। এর প্রতিকার করার জন্য – 

  • (i) তৎক্ষণাৎ জাল টেনে মাছ ধরে মাছের সংখ্যা কমাতে হবে। 
  •  (ii) জলের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াবার জন্য বিঘা প্রতি 20-30 কেজি কলিচুন ভিজিয়ে চুন জল ছড়াতে হবে। 
  • (iii) ভালো করে জাল টেনে পুকুরের তলদেশের পাঁক ঘেঁটে দিতে হবে। 
  • (iv) বিঘা প্রতি 2-3 কেজি পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট (KMNO) পুকুরের জলে ছড়াতে হবে। 
  • (v) পরিস্থিতি অনুযায়ী পাম্পের সাহায্যে দূষিত জল বার করে দেওয়া এবং পরিচ্ছন্ন জল ওই পুকুরে প্রবেশ করানো যেতে পারে।


পুকুরের জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা নানান কারণে কমে যেতে পারে। অন্যতম ফ্যাক্টরের মধ্যে রয়েছে—জৈব সারের অত্যধিক সঞ্জয়ের ফলে পুকুরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন (উদ্ভিদ কণা) ও জুপ্ল্যাঙ্কটনের (প্রাণী কণা) আধিক্য। ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের অধিক বৃদ্ধির জন্য পুকুরের জল ঘন সবুজ বর্ণ ধারণ করে। মাছ স্বাভাবিকভাবে জলে বিচরণ করতে পারে না। মাছের কানকোতে উদ্ভিদ কণা আটকে তাদের শ্বাসকার্যের বাধা সৃষ্টি করে। ফলে মাছ মরে যায় ও জলে পচে বিভিন্নপ্রকার বিষাক্ত গ্যাসের উদ্ভব ঘটে, তাতে জলে অক্সিজেনের মাত্রা আরও কমে যায়। মাছ অক্সিজেনের সন্ধানে পুকুরের উপরিস্তরে খাবি খায় অর্থাৎ বাতাসের অক্সিজেন নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই মাছ চাষের পুকুরে যাতে কোনো মতেই উদ্ভিদ কণার আধিক্য না ঘটে—সেদিকে নজর রাখতে হবে।
জাল টেনে মাঝে মাঝে মাছ ধরে মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে মাছ সুস্থ আছে কিনা। কতকগুলি বৈশিষ্ট্য দেখে মাছ যে সুস্থ আছে তা জানা যায়। যেমন—

  • (i) মাছ সতেজ ও খুব ছটফটে হবে, পিচ্ছিল হওয়ায় হাতে ধরে রাখা যাবে না। 
  • (ii) দেহের বাঁধন আঁটোসাটো হবে এবং আঁশগুলি সর্বদা উজ্জ্বল থাকবে। 
  • (iii) মাথার আকৃতি দেহের তুলনায় কখনও বড়ো বলে মনে হবে না।
  • iv) কানকো মধ্যস্থ ফুলকাগুলি উজ্জ্বল লাল বর্ণের থাকবে এবং তাতে কোনো দাগ বা ছেঁড়াকাটার চিহ্ন থাকবে না। 
  • (v) দেহত্বকে, পাখনায় কোনো স্পট বা রক্ত লেগে থাকে না। 
  • (vi) আঁশ ঘসে পড়েছে এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাবে না।

লক্ষণ (Symptoms) : ছত্রাকের মাইসিলিয়াম (mycelium) প্রথমে মাছের ত্বককে আক্রমণ করে। পরে ত্বক থেকে পাখনা, ফুলকা, মুখ প্রভৃতি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ওই সকল অঙ্গে সাদাটে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। এছাড়া পাখনার পচন ঘটে থাকে।

বিভিন্ন প্রকার কৃমির দ্বারা সৃষ্ট রোগের মধ্যে ড্যাকটাইলোগাইরোসিস (Dactylogyrosis), গাইরোড্যাকটাইলোসিস (Gyrodactylosis) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। Dactylogyrus extensus বা এর অপর প্রজাতির চ্যাপটা কৃমি (Trematoda) কর্তৃক সৃষ্ট রোগ হল ড্যাকটাইলোগাইরোসিস। এরা মাছের পরজীবী এবং প্রধানত মাছের ফুলকাকে আক্রমণ করে। চারামাছ ও পরিণত দশা উভয়ই আক্রান্ত হতে পারে।

প্রয়োজনে  আমাদের  হ্যাচারিতে যোগাযোগ করতে পারেন,আমাদের হ্যাচারীতে পুকুরচাষের  যাবতীয় ডিমপোনা   ও চারাপোনা পাওয়া যায়। 
     
যোগাযোগের  টীকানা      
পেটলাবাজার      
থানা- দিনহাটা, 
জেলা-কুচবিহার 
ফোন- ৮৩৪৩৮৮৯৪২৪(মিটু)
৮৫১৪০২৯১৫৪(মিলু)
৭৫৫০৮৭২৪৮৪(শাহারুক)


                            মাছ চাষের জন্য page টি follow করুন
                                            ধন্যবাদ  

Google map    


Shaharuk Islam

Hi I am Shaharuk Islam. I enjoyed in writing articles and spread knowledge cross over the internet.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ad

Magspot Blogger Template

Ad

amazon.in
amazon.in

نموذج الاتصال