চাষ ও পালনযোগ্য মাছের প্রজনন রীতি

চাষ ও পালনযোগ্য মাছের প্রজনন রীতি

জলের ব্যবস্থা হলে প্রথমেই পাম্পে জল উপরে তুলে জলাধার (Overhead Tank) ভর্তি করে নিতে হবে। জলের ট্যাংক থেকে জল নলবাহিত হয়ে প্রজননক্ষেত্র ও পরবর্তীকালে হ্যাচিং কক্ষে যাবার ও বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। মাছের প্রজননকালে ট্যাপকল খুলে জল প্রজননক্ষেত্রে প্রবাহ করা হয় এবং সেখানে প্রজনন কার্য বা ডিম পাড়ানোর ব্যবস্থা থাকে। স্বাভাবিক প্রজননের জন্য দেশি বিদেশি কার্প প্রজাতির মাছে হরমোন প্রয়োগ করে। দলবদ্ধভাবে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ আনুপাতিক হারে প্রজননক্ষেত্রে ছাড়া হয়। রাতে প্রজনন করানো হলে সকালে নিষিক্ত ডিমসমূহ প্রজননক্ষেত্রের কেন্দ্রের সাইফন নলের মাধ্যমে সরাসরি হ্যাচিং কক্ষে চলে যায় (যদি ব্যবস্থা থাকে) নতুবা বেড়জালে বড়ো মাছ তুলে নিয়ে ডিম ছেঁকে নিয়ে মেপে হ্যাচিং কক্ষে দেওয়া হয়।

চাইনিজ ইকো হ্যাচারির দুটি কক্ষ বা অংশ। এটি গোলাকার ক্ষেত্র—বাইরের বৃত্তাকার পরিধি, সিমেন্টের দেয়াল ভিতরে কেন্দ্রস্থল থেকে হ্যাচারির ব্যাসের এক-তৃতীয়াংশ অংশ নিয়ে ২য় কক্ষ। কেন্দ্রে একটি ১ মিটার লম্বা ৩ ইঞ্চি ব্যাসের নল সাইফনের কাজ করে। ওই নলকে কেন্দ্র করে ৬ ইঞ্চি উঁচু %, মিটার ব্যাসের সিমেন্টের পাটাতনের উপর একটি লোহার গ্রিলের খাঁচা বসানো হয়। ওই খাঁচার বাইরের দিক বরাবর মিহি নাইলন জাল বেষ্টিত থাকে। ধাতব খাচার বাহিরে ও সিমেন্ট দেওয়ালের ভিতরে দিকে কেন্দ্রাভিমুখী হ্যাচিং কক্ষের বাইরে ভিতরে তলদেশে বৃত্তাকারে দুই সারি একমুখী জলপ্রবাহের ব্যবস্থা রাখা হয়। লোহার খাঁচার বাইরের অংশে জল ভর্তি করে ঘূর্ণায়মান জলে নিষিক্ত ডিম দেওয়া হয়। ডিম চক্রাকারে ঘুরতে থাকে হ্যাচারি কক্ষের উপর একটি জালের ফোয়ারা দিলে ভালো হয়। জলপ্রবাহ চলতে থাকে। ডিম ফোটার পূর্ব মুহূর্ত থেকে ভিতর খাঁচার বেষ্টনি জালটি ব্রাশ করে পরিস্কার করা দরকার। এছাড়া জল ঘোরা অবস্থায় নানারকম ময়লা শ্লেষ্মা (Slime) ইত্যাদি পরিষ্কার করে জল ঠিক রাখা প্রয়োজন। ডিম ফুটে ডিমপোনারা ৭২ ঘণ্টা হ্যাচিং কক্ষে থাকে। তারপর তুলে স্থানান্তর করা হয়।

বাংলা বাঁধে প্রজনন কার্যে সহায়ক।

 সাধারণ ৮-১০ মিটার লম্বা ৫-৬ মিটার চওড়া আয়




তাকার (প্রয়োজনে কর্ম বেশি করা যাবে)। একটি মাটি কেটে গর্ত করে একদিক ঢালু রাখতে হবে গভীরতা গভীর অংশে পাঁচ ফুট এবং অগভীর অংশে ২ ফুট অগভীর চওড়া দিকে ছিদ্রযুক্ত নল দ্বারা জলপ্রবাহ দেওয়া হয়। গভীর অংশে জলনিকাশ হয়। বাঁধের তলদেশে বালি, নুড়ি বা লাল কাঁকুড়ে মাটির ৬"-৮" আস্তরণ থাকে। প্রয়োজনে বাঁধটি জল শুকিয়েও নেওয়া যায়। জল ভরে ফোয়ারা চালু করে হরমোন দিয়ে মাছ ছেড়ে দিলে ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যেই ডিম পাওয়া যায়। সকালে ডিম হেঁকে হ্যাচারিতে দিয়ে বাচ্চা ফুটিয়ে নেওয়া হয়।

Shaharuk Islam

Hi I am Shaharuk Islam. I enjoyed in writing articles and spread knowledge cross over the internet.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ad

Magspot Blogger Template

Ad

amazon.in
amazon.in

نموذج الاتصال