মলয় বাতাস বয়। গরম বাড়ে, মাছও প্রাকৃতিক নিয়মে বাড়ে। রোদের টানে জলাশয়ে জল কমে। এসময় পুকুরে কম করে গড়ে ৪ ফুট জল রাখা দরকার, তার ব্যবস্থা নিতে হবে। এসময় পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দিতে হবে। পাড়ের লতা গুল্ম সরিয়ে গর্ত থাকলে বুজিয়ে দিতে হবে। ভাঙ্গা পাড় বাঁধতে পারলে ভাল। জল আসা যাওয়ার নালা কেটে রাখলে জল সহজেই পুকুরে নেওয়া যাবে বা দরকারে বাইরে বের করা যাবে। যাঁদের ছোট পুকুর বা ডোবা আছে তাঁরা ডিমপোনা (spawn) পালনের জন্য আঁতুড় পুকুর তৈরি করুন। আঁতুড় পুকুর তৈরির এটা উপযুক্ত সময়।
কূযাদের হ্যাচারি আছে, তাঁরা প্রণোদিত প্রজননের জন্য তৈরি হোন। প্রজননক্ষম মাছের পরিচর্যা এখন থেকেই শুরু করতে হবে। হ্যাচারির জল সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা। দেখতে হবে। প্রজনন চৌবাচ্চা বা বাঁধ ও ডিম ফোটানোর ইকো হ্যাচারি সচল রাখতে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রজননক্ষম মাছের পরিচর্যায় স্ত্রী, পুরুষ মাছ সম্ভব হলে আলাদা রেখে সুষম খাবার দিলে প্রজনন ভাল হবে, ডিমও বেশি হবে।বারমাস জল থাকে এমন পুকুরে নিবিড় মিশ্র মাছ চাষ থাকলে মাছেদের যত্ন নিতে হবে। এখন মাছের বৃদ্ধির সময়। জলীয় পরিবেশ ঠিক রেখে মাছকে সুষম খাবার দিতে হবে। ১৫ দিন অন্তর জাল টানুন অথবা মাছকে যে কোনও ভাবে তাড়া খাওয়ান। মাছের স্বাস্থ্যের খবর নিন। যদি কোনও চাষি গত শীতে মাগুর চাষ করে থাকেন তবে ফলন তুলে বাজারে পাঠান। গলদার চাষ থাকলে কুয়াশা হলে মাছ নষ্ট হতে পারে।
আতুর পুকুর |
এপ্রিল মাস (চৈত্র-বৈশাখ)
খরার চারিদিক গরমে জলের প্রত্যাশী, পুকুর ডোবা শুকিয়ে যাবার মত। অবস্থায় জলের জোগান দিতে পারলে ভাল হয়, নইলে পুকুর শুকিয়ে দিন। শুকনো পুকুরের তলদেশ কুপিয়ে চুন ছড়িয়ে দিলে ভাল। আর যদি অন্তত তিন ফুট জল থাকে তবে মহুয়া খোল দিয়ে আগাছা মেরে পুকুর তৈরি করুন।
![]() |
মহুয়া খোল |
নিবিড় মিশ্র মাছ চাষ অথবা মিশ্র চাষের পুকুরের পরিচর্যা নিয়মমত চলতে থাকবে। মাসিক সার ও চুনের প্রয়োগ করে যান। জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য দেখুন। এই সময় জলের পরিবেশ দূষিত হয়ে এককোষী প্রাণী বা উকুনের আক্রমণ হতে পারে, সময়মত ব্যবস্থা না নিলে ফলন কমবে।
বাগদা চাষিরা বাগদার পিন/মীন সংগ্রহ করে অবশ্যই মজুদের কাজ শেষ করুন। নির্দিষ্ট সংখ্যক মীন ছাকুন। সুষম খাবার দিতে থাকুন। ধানি (fry) পোনা চাষের জন্য পুকুর তৈরি করতে থাকুন।
মে মাস (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) আঁতুড় পুকুর অর্থাৎ ডিমপোনা চাষের পুকুর ও লালন পুকুর অর্থাৎ ধানি পোনা চাষের পুকুর ঠিক করা না হলে এ মাসেই শেষ করুন। পরে বেশি দেরি হলে বাজারে দাম কম হবে। সম্ভব হলে চাষ উপযোগী পুকুরের জলের পি. এইচ. (pH) ও দ্রবীভূত অক্সিজেন (DO)-এর মাত্রা পরীক্ষা করুন। মাছ বৃদ্ধির জন্য দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকতে হবে।
এ সময় প্রণোদিত প্রজনন করান। হরমোন গ্রন্থি বা সিনথেটিক হরমোন জোগাড় করুন। প্রজননের উপাদান ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম হাতের কাছে রাখুন। হাপায় প্রজনন করালে নির্দিষ্ট মাপের নাইলন হাপা ও বাঁশ দড়ি ঠিক রাখুন। নির্দিষ্ট দিনে প্রযুক্তি অনুযায়ী হরমোন প্রয়োগ করে হাপা, প্রজনন চৌবাচ্চা বা প্রজনন বাঁধে ছাড়ুন সন্ধ্যার পর। মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত তাপ বা অতি কম তাপমাত্রায় প্রজনন ভাল হয় না।
মজুদ পুকুরের মাছ চাষি নিয়ম মত পরিচর্যা করুন সার, চুন ও জাল দিয়ে। পরিপূরক খাবারে অবহেলা করবেন না। এখন কালবৈশাখীর ঝড়ের জন্য তাপমাত্রার তারতম্যে বা গুমোট আবহাওয়ায় দ্রবীভূত অক্সিজেন জলাশয়ে কমে মাছ খাবি খেতে পারে। যথাসময়ে ব্যবস্থা নিন। জল ঘন সবুজ যেন না হয়। জল আলোড়ন করলেই দ্রবীভূত অক্সিজেন বাড়ে অথবা পরিষ্কার নদীর বা খালের জল দিন। মাগুর চাষি মাছ তুলে না নিলে বৃষ্টির জলের ঢল পুকুরে নামলে সব মাছ উঠে যাবে।
জুন মাস (জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়)
আঁতুড়পুকুরের ফলন নিয়ে যান। যাঁদের বেশি পুকুর নেই, তাঁরা একবার ফলন তোলার পর জল ঠিক থাকলে, আর একবার ফলন তুলুন। এরপর সম্ভব হলে বার কয়েক ডিমপোনা চাষ করুন। একই পুকুরে পরপর ডিমপোনা চাষ করলে সার কম লাগে। আঁতুড়পুকুরে ডিমপোনার ফলন ১২-১৫ দিনে হয়।
এই মাসে বর্ষা নামার কথা। লক্ষ্য রাখুন অতি বর্ষায় পুকুর ভেসে না যায়। বর্ষা মাছেদের বাড়-বাড়ন্ত আনে। বর্ষা হল মাছের প্রজনন ঋতু। সুতরাং ভাল ডিমপোনা পেতে এই সময়েই সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। অবশ্যই আঁতুড়পুকুরে ভাল ডিমপোনা ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডিম পোনা চাষ |
মিশ্র মাছ চাষের পুকুরের যত্ন নিন। কৃষিজমির গড়ানো জল পুকুরে ঢুকতে দেবেন না। বর্ষার অতিরিক্ত জল নিকাশি নালা দিয়ে বের করে দিন। লক্ষ্য রাখুন ফল সবুজ বা নীল না হয়। ভাসমান ক্ষুদ্র শেওলা হলে মেঘলা দিনে মাছ ভাসবে। যাঁরা আগেই ধানি পোনার ফলন তুলেছেন তাঁরা আঁতুড়পুকুর থেকে যানি মাছ, লালনপুকুরে প্রযুক্তি মেনে পালন করুন।
বাগদা চাষিরা সম্ভব হলে মাছ বাজারে তুলুন। জল বেড়ে গেলে ফলন হ্রাস পাবে। গলদা চাষ করতে চাইলে পাকহীন বেলে মাটির তলদেশ, এমন পুকুর বাছুন। প্রযুক্তি ও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পুকুর তৈরি করুন। অগভীর জলাশয়ে (দেড়-দুই ফুট) ছোট চারা/মীন ছেড়ে বড় করে নিন। জলাশয়ে চিংড়ি চাষের উপযোগী রাসায়নিক সার দিন।
জুলাই মাস (আষাঢ়-শ্রাবণ)
ডিমপোনা ও ধানি পোনার কয়েকবার ফলন তুলুন। প্রতিবার ফলন তুলে বাজারে বিক্রি করুন। বারবার ব্যবহৃত জলাশয়ে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সার ও চুন দিন পরিচর্যা যেমন করবেন, তেমনই ফলন পাবেন। ডিমপোনার চাহিদা থাকলে সুযোগ-সুবিধা মত ডিমপোনা উৎপাদন করুন। একই প্রজাতির মাছ বারবার প্রজনন না করিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রজনন করান। চাষে অবাঞ্ছিত কিছু দেশি প্রজাতির মাছ বিলোপ হতে চলেছে, এমন মাছ যেমন—পুঁটি, মৌরলা, ট্যাংরা, খলসে, দাঁড়কে, মাগুর ইত্যাদির ডিমপোনা করুন। বাজারে বিক্রি না হলে বিস্তীর্ণ প্রাকৃতিক জলে ছাড়ুন। পরিবেশ বাঁচবে। এখন এগুলোর ভালই বাজার আছে, সুতরাং লাভ হবেই।
মিশ্র চাষের মাছের ক্ষেত্রে এখন যত্ন নিলে বেশ বেড়ে যাবে। সুতরাং চুন, সার, খাবার ও মাঝে মাঝে জাল দিন, পরিচর্যা ঠিক রাখুন। বাজারে পাঠাবার মতো হলে বাজারজাত করুন। এ সময় বাজারে ভাল দর পাওয়া যায়।
চিংড়ি চাষ করে থাকলে বাগদা অবশ্যই বাজারে পাঠান। গলদার পুকুরে পরিচর্যা বাড়ান। জলের উপরের কিছু অংশ ঢেকে দিন আর তলদেশে চিংড়ির খোলস ছাড়ার জন্য পাইপ, তালপাতা, টালি ভাঙ্গা দিয়ে রাখুন।
![]() |
Curein |
আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস (শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন)
ডিমপোনা ও ধানিপোনার চাষ শেষ করুন। পুকুর বা ডোবায় তিন-চার মাস জল থাকবে বলে মনে হলে মাগুরের ডিমপোনার চাষ করুন। প্রযুক্তি জানা থাকলে মাগুরের ডিমপোনা করা খুব সহজ। উন্নত মানের পরিচর্যা ও খাদ্যের জোগানে মাগুরের চারা করা যায়, তবে ডিমপোনার ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার খুব বেশি।
এখন এককভাবে মোনোসেক্স তিলপিয়ার চাষ করা হচ্ছে। এর চারা ৩/৪ মাসেই উপযুক্ত পরিচর্যা ও খাদ্যগুণে ২০০-৩০০ গ্রাম করা যাচ্ছে। এই মাছ চাষের চেষ্টা করা যেতে পারে। মিশ্রচাষের পরিচর্যা চালিয়ে যেতে হবে। মাছের পুকুরে খাবার, মাসিক সার ও চুনের কিস্তি ঠিকমত দিতে হবে। বর্ষার জল ও পরিবেশে তাপমাত্রার তারতম্যে মাছের রোগ সংক্রমণের ভয় থাকে। সময়মত ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় মাছ তুলে বাজারে পাঠান। গলদা চাষে সুষম খাবার সময়মত দিতে হবে। খেপলা জালে গলদা ধরে স্বাস্থ্যের ম নিতে হবে। মেঘলা দিনে বা কোনও কারণে প্রবীভূত অক্সিজেনের ঘাটতি হলে গলদা জলের ধারে ধারে বা জল ছেড়ে পাড়েও উঠে পড়তে পারে। ভালভাবে নজর রেখে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে হবে। পরিষ্কার জলের স্রোত সৃষ্টি করতে হবে। জল ঝাঁকালেও অক্সিজেন বাড়ে। ব্যবস্থা থাকলে বায়ু সঞ্চালক যন্ত্রের ব্যবহার করা যেতে পারে।
![]() |
Airetor |
অক্টোবর মাস, বর্ষা প্রায় শেষ, তাই বর্ষায় জন্মানো সব আগাছা পুকুর থেকে তুলে ফেলে দিন। নাইলে এগুলি পুকুরের সার টেনে নেয় এবং পুকুরের পরিবেশ নষ্ট করে, ফলে মাছ বাড়তে পারবে না।
হতে পারে বর্ষার জল পাশের জমি ধুয়ে পুকুরে পড়েছে। সেক্ষেত্রে রোগ সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি, বিশেষ করে মহামারী ক্ষত রোগ। রোগের আক্রমণ ও মাছ মরবার সম্ভাবনা আটকাতে এ মাসে বিঘাপ্রতি ১০ – ১২ কেজি কলিচুন জলে ভিজিয়ে পুকুরে দিন। মজুত পুকুর থেকে কিছু বড়মাছ তুলে বিক্রি করে আবার পরিমাণ মত চারাপোনা ছাড়ুন। আঁতুড়পুকুর ও পালনপুকুর এমনকি মজুত পুকুরে রুই, কাতলার সঙ্গেও শিঙ্গি, মাগুর, কই প্রভৃতি জিয়ল মাছ চাষ করতে পারেন। এ মাসে গলদা চিংড়ির বড় চারা পাওয়া যায়। গলদা চিংড়ি একক ভাবে বা যৌথ ভাবে পোনা মাছের সঙ্গে চাষ করতে পারবেন।
গলদা চিংড়ি একক ভাবে চাষের জন্য আঁতুড়পুকুর ও পালনপুকুর ব্যবহার করতে পারেন। আশানুরূপ ফলনের জন্য ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি মাপের গলদা চিংড়ির চারা নির্দিষ্ট সংখ্যায় পুকুরে ছাড়ুন। সাধারণভাবে চিংড়ির একক চাষ এবং পোনা মাছের সঙ্গে যৌথ চাষে মজুতের হার নীচে দেওয়া হল :
একক চাষ
গলদা চিংড়ি - 15,000 প্রতি হেক্টর।
মাছের সঙ্গে যৌথ চাষ কাতলা, রুই, মৃগেল, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, কমন কার্প – 5,250 হেক্টর; গলদা চিংড়ি—3,750 প্রতি হেক্টর। চিংড়ির ভাল ফলনের জন্য পুকুরে অবশ্যই তাল, খেজুর ও নারকেল গাছের শুকনো পাতা বা বাঁশ ও গাছের শুকনো ডাল দিন। তুলনা মূলকভাবে চিংড়ির চাষে পুরুষ চিংড়ির বৃদ্ধির হার বেশি এবং এর জন্য শুধু পুরুষ চিংড়ির এককচাষ করে ভাল লাভ করা যায়। মাছের ও চিংড়ির বাড় অব্যাহত রাখতে নিয়মিত সার ও পরিপূরক খাদ্য দিন। আর মাসে একবার জাল টানুন।
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস (কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ)
পরিষ্কার আকাশ, বেশ শীত শীত ভাব, তাপমাত্রা ক্রমশই কমতে থাকে। পুকুর ডোবার গুল কমাতে শুরু করে। মাছ চাষিরও আলস্য দেখা দেয়। ডিমপোনা শেষ। ধানি বা চারা যেটুকু আছে পরিচর্যা করে রাখতে হবে। এসব শীত খাওয়ানো মাছ থাকলে শীতের শেষে মিশ্র চাষের পুকুরে মজুত করলে ভাল ফলন দেবে।
মাগুর ও গলদার চাষ থাকলে পুকুরে সার প্রয়োগ না করে শুধু চুন প্রয়োগ করুন। মাছের খাবারের অবহেলা করা যাবেনা। মাগুর ও চিংড়ি রাতে খাবার বেশি খায়, তাই সন্ধ্যার সময় বেশি খাবার দিতে হবে। পরিচর্যা নিয়ম মেনে করে যেতে হবে। মোনোসেক্স পুরুষ তিলাপিয়ার চাষ থাকলে জলের পরিবেশ ঠিক রাখুন। অযথা সার প্রয়োগ করা যাবেনা। ভাসমান দানা খাবার দিনে ২/৩ বার নিয়মমত খাওয়ান।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি (পৌষ-মাঘ-ফাল্গুন)
মজুদ গলদা ও মাগুর মাছের পুকুরে জল ঠিক আছে কিনা দেখুন। নিয়মিত খাবার দেওয়া ও পরিচর্যা ঠিক রাখুন। মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করাবেন। প্রজননক্ষম মাছের পরিচর্যা শুরু করুন। সুস্থ সবল স্ত্রী পুরুষ মাছ বাছাই করে আলাদা পুকুরে মজুত করুন। পুকুরের পরিবেশ ঠিক রেখে সুষম খাবার দিন। এসময় সাইপ্রিনাস কার্প বা আমেরিকান রুই-এর প্রজনন করানো সহজ। একটি ছোট ডোবা শুকিয়ে নিয়ে তলদেশ পরিষ্কার করে চুন, খোল ছড়িয়ে দিয়ে জল ভরে দিন। দেড়-দুই ফুট জল হলে এক পাশে কচুরি পানা দিয়ে দিন। পানা যেন এক জায়গায় থাকে। জল পরীক্ষা করে ডিমওয়ালা স্ত্রী ও শুক্ররস সম্বলিত পুরুষ মাছ বাছাই করে ২:৩ অনুপাতে ছেড়ে দিন। ডিম হলে ২/৩ দিনে ডিম ফুটে ডিমপোনা বেরিয়ে যাবে। নিয়ম মেনে পালন করুন।
এই দুই মাসে আগামী মরশুমের মাছ চাষের প্রস্তুতি নিন। পুকুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, পাড় বন্ধ, মাটি কাটা প্রভৃতি কাজগুলো আস্তে আস্তে সেরে নিন। চিংড়ি চাষিরা কুয়াশার দিনগুলোতে লক্ষ্য করুন, চিংড়ি পাড়ের থেকে উপরে উঠে যাচ্ছে কিনা। কুয়াশা বেশি হলে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, দ্রুত ব্যবস্থা নিন।