darwin theory

ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে যে কোনও দুটি জীব কখনই অবিকল একই রকমের হতে পারে না। অর্থাৎ জীবের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য বা ভেদ থাকবেই। ডারউইনের ধারণা অনুসারে ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই হল নতুন প্রজাতির জীবের উৎপত্তির জন্য দায়ী।
darwin theory

জৈব বিবর্তন বা অভিব্যক্তি 

সূচনা (Introduction) : ল্যা টিন শব্দ ‘Evolver' থেকে Evolution কথাটির উৎপত্তি হয়েছে, এর অর্থ ‘ক্রমবিকাশ’। পৃথিবীতে প্রথম উৎপন্ন জীব ছিল এককোশী এবং সরল প্রকৃতির। ওই এককোশী সরল জীব থেকে ধারাবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত জটিল বহুকোশী জীবের সৃষ্টি হয়। এরপর যুগ যুগ ধরে ক্রমাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে ধাপে ধাপে আধুনিক কালের জীবসমূহের উৎপত্তি হয়েছে। ধারাবাহিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সরল জীব থেকে জটিল জীব সৃষ্টি হওয়ার এই পদ্ধতিই হল জৈব বিবর্তন বা জৈব অভিব্যক্তি।

ইংরেজ দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ হাবার্ট স্পেনসারের (Herbert Spencer) মতে, কোনও সত্তার বিকাশ যখন মন্থর অথচ গতিশীল ও পর্যায়ক্রমিকভাবে ঘটে এবং নির্দিষ্ট সত্তা সরল অবস্থা থেকে জটিল অবস্থায় পরিণত হয়, তখন ওইরকম পরিবর্তনকে ইভোলিউশন' (Evolution) বা অভিব্যক্তি বলে।

অভিব্যক্তির সংজ্ঞা : যে মন্থর গতিশীল প্রক্রিয়ায় ধারাবাহিক পরিবর্তন ও ক্রমিক রূপান্তরের মাধ্যমে পূর্বপুরুষ অর্থাৎ সরল উদ্‌বংশীয় জীব থেকে নতুন ও অপেক্ষাকৃত জটিল জীবের উদ্ভব এবং ক্রমবিকাশ ঘটে, তাকে জৈব অভিব্যক্তি বা জৈব বিবর্তন বলে।
চালর্স ডারউইন অভিব্যক্তিকে “পরিবর্তনসহ বংশক্রম” (decent with modification) বলে অভিহিত করেছেন।

ডারউইনের তত্ত্ব (Theory of Darwin) :

ডারউইনের অভিব্যক্তি সম্পর্কে যে মতবাদ প্রকাশ করেন, সেই মতবাদকে ডারউইনবাদ বা প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদ বলা হয়। 1959 খ্রিস্টাব্দে 'Orgin of Species by means of Natural Selection' নামে এক গ্রন্থে ডারউইন তাঁর মতবাদগুলি প্রকাশ করেন।

ডারউইনের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলি ছিল :

1. অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি : ডারউইনের মতে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই হল জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
2. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম : জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটার জন্য এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় বেঁচে থাকার জন্য জীবকে কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। ডারউইন এই রকম সংগ্রামকে 'অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম' আখ্যা দিয়েছেন। জীবকে তিনটি পর্যায়ে এই সংগ্রাম করতে হয়, যথা :

  •  (i) অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, অর্থাৎ একই প্রজাতিভুক্ত বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে সংগ্রাম। 
  • (ii) আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম, অর্থাৎ যে কোনও দুই বা ততোধিক প্রজাতির মধ্যে সংগ্রাম।
  •  (iii) প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম।

3. ভ্যারিয়েশান বা ভেদ বা প্রকরণ : ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে যে কোনও দুটি জীব কখনই অবিকল একই রকমের হতে পারে না। অর্থাৎ জীবের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য বা ভেদ থাকবেই। ডারউইনের ধারণা অনুসারে ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই হল নতুন প্রজাতির জীবের উৎপত্তির জন্য দায়ী।
4. যোগ্যতমের উদ্‌বর্তন : ডারউইনের মতে, যে সমস্ত প্রকরণ বা ভেদ জীবের জীবন সংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে এবং তাদের উদ্‌বর্তন ঘটবে। অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হবে।
5. প্রাকৃতিক নির্বাচন : যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা অন্যান্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে। অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যধিক হারে বংশবিস্তার করে। প্রাকৃতিক নির্বাচন এক্ষেত্রে চালুনির মতো কাজ করে এবং সবচেয়ে উন্নত ও যোগ্যতম বংশধরকে ধরে রাখে। অপরপক্ষে, প্রতিকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয় না বলে পরাজিত সৈনিকের মতো ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়ে যায়। 
6. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি : একটি বিশেষ জীবগোষ্ঠীর মধ্যে অনুকুল প্রকরণগুলি পুঞ্জীভূত হওয়ায় জীবের পূর্বপুরুষ ও উত্তরপুরুষের মধ্যে অনেক বেশি বৈসাদৃশ্য দেখা দেয় এবং এরই ফলে কালক্রমে একটি নতুন প্রজাতির উৎপত্তি ঘটে। বিবর্তনের ফলস্বরূপ জীবজগতে নতুন প্রজাতির জন্ম হয়।

* ডারউইনবাদের ব্যাখ্যা (Explanation of Darwinsim)

1. অত্যাধিক হারে বংশবৃদ্ধি (Prodigality of production) : ডারউইনের মতে, অত্যাধিক হারে বংশবৃদ্ধি করাই জীবের সহজাত বৈশিষ্ট্য। এর ফলে জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। উদাহরণ : একটি স্ত্রী স্যালমন মাছ প্রজনন ঋতুতে প্রায় 3 কোটি ডিম পাড়ে। একটি ঝিনুক একবারে 12 কোটি ডিম্বাণু উৎপাদন করে। ডারউইনের মতে, একজোড়া হাতি থেকে উদ্ভূত সকল হাতি বেঁচে থাকলে 750 বছরে হাতির সংখ্যা হবে এক কোটি নব্বই লক্ষ (1,90,00000)। উল্লেখযোগ্য যে হাতি 12 বছরে মাত্র একটি সন্তান প্রসব করে। 
2. সীমিত খাদ্য ও বাসস্থান (Constancy of food and shelter) : ভূ-পৃষ্ঠের আয়তন সীমাবদ্ধ হওয়ায় জীবের বাসস্থান এবং খাদ্যও সীমিত।
3. অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম (Struggle for existance) : জীবের জ্যামিতিক ও গাণিতিক হারে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটায় এবং খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় জীবকে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়, ডারউইন এই ধরনের সংগ্রামকে “অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম” বলে অভিহিত করেন। ডারউইন লক্ষ করেন যে, জীবকে তিনটি পর্যায়ে এই সংগ্রাম করতে হয়, যেমন :

• (i) বিষমপ্রজাতির সঙ্গে সংগ্রাম (Interspecific struggle) : যে কোনও দুই বা ততোধিক প্রজাতির মধ্যে বাঁচার জন্য যে প্রতিযোগিতা ঘটে তাকে আন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ব্যাঙ একদিকে কীট-পতঙ্গ ভক্ষণ করে, অন্যদিকে তেমনি ব্যাঙেরা সাপ কর্তৃক ভক্ষিত হয়। আবার, ময়ূর কর্তৃক ব্যাঙ ও সাপ উভয়েই ভক্ষিত হয়— এইভাবে নিতান্ত জৈবিক কারণেই বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে খাদ্যখাদক সম্পর্কযুক্ত একটি নিষ্ঠুর জীবনসংগ্রাম গড়ে ওঠে।

•  (ii) স্বপ্রজাতির সঙ্গে সংগ্রাম (Intraspecific struggle) : একই প্রজাতির বিভিন্ন সদস্যদের খাদ্য ও বাসস্থান একই রকমের হওয়ায়, এদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়; যাকে অন্তঃপ্রজাতির সংগ্রাম বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যে : একটি দ্বীপে তৃণভোজী প্রাণীর সংখ্যা ততোধিক হারে বৃদ্ধি পেলে খাদ্য ও বাসস্থান সীমিত থাকায় তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়। সবল প্রাণীগুলি দুর্বল প্রাণীদের প্রতিহত করে গ্রাসাচ্ছাদন করে, ফলে দুর্বল প্রাণীগুলি কিছুদিনের মধ্যেই অনাহারে মারা পড়ে। 

• (iii) প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে অর্থাৎ পরিবেশগত সংগ্রাম (Struggle against odd environment) : বন্যা, খরা, ঝড়-ঝঞ্ঝা, প্রচণ্ড বালিঝড়, ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি প্রতিকূল পরিবেশ জীবের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে। সুতরাং জীবকে তার অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য প্রতিনিয়ত এই সব প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, উত্তর ও মধ্য আমেরিকার কোয়েল পাখি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের ফলেই লুপ্ত হয়েছে।

4. ভ্যারিয়েশান বা ভেদ বা প্রকারণ বা জীবদেহে পরিবর্তন (Variation in the organism) : ডারউইনের মতে, পৃথিবীতে যে কোনও দুটো জীব কখনই অবিকল একই রকমের হতে পারে না। অর্থাৎ জীবের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য বা ভেদ থাকবেই। এমনকি একই পিতামাতার সন্তানদের মধ্যেও পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ডারউইন মনে করতেন যে, অবিরত ত্রিবিধ সংগ্রামের ফলে জীবদেহে প্রকারণ বা পার্থক্যের সৃষ্টি হয় যা প্রজননকালে অপত্যের দেহে সঞ্চারিত হয় এবং পরিশেষে জীবের বৈশিষ্ট্যরূপে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। ডারউইনের ধারণা অনুযায়ী ছোটো ছোটো ধারাবাহিক পরিবর্তনই বিভিন্ন প্রজাতির উৎপত্তির জন্য দায়ী। আকস্মিক পরিবর্তনকে তিনি 'প্রকৃতির খেলা ( sports nature) বিবেচনা করে কোনো গুরুত্ব দেননি।
5. যোগ্যতমের উদ্‌বর্তন (Survival of the fittest) : ডারউইনের মতে, যে সব প্রকারণ বা ভেদ জীবের জীবনসংগ্রামের পক্ষে সহায়ক এবং পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজনমূলক, তারাই কেবল বেঁচে থাকবে এবং তাদের উদ্‌বর্তন ঘটবে। অন্যরা কালক্রমে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে, কোনও একটি বিশেষ পরিবেশে একটি জীব বাঁচার অযোগ্য হলেও অন্য কোনও পরিবেশে সে বাঁচার যোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, ছোটো লোমওয়ালা কুকুর কলকাতার গ্রীষ্মপ্রধান পরিবেশে বাঁচার উপযুক্ত হলেও মেরুপ্রদেশের জমাট শীতে বাঁচার অযোগ্য। একইভাবে মেরুপ্রদেশের বড় লোমওয়ালা কুকুর সেই দেশে বসবাসের যোগ্য হলেও কলকাতায় বসবাসের অযোগ্য।
6. প্রাকৃতিক নির্বাচন (Natural selection): ডারউইন তত্ত্বের এই প্রতিপাদ্যটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। “যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় অনুকূল ভেদ বা অভিযোজনমূলক ভেদ সমন্বিত জীবেরা অন্যান্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বেশি সুযোগ সুবিধে ভোগ করে, তাকে প্রাকৃতিক নির্বাচন বলে।” অনুকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হলে বেশি সংখ্যায় বেঁচে থাকে এবং অত্যাধিক হারে বংশবিস্তার করে। অপরপক্ষে, প্রতিকূল ভেদ সমন্বিত জীবেরা প্রকৃতির দ্বারা নির্বাচিত হয় না বলে পরাজিত সৈনিকের মত ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হয়।
7. নতুন প্রজাতির উৎপত্তি (Origin of new species) : একটি বিশেষ জীবগোষ্ঠীর মধ্যে অনুকূল প্রকারণগুলি পুঞ্জীভূত হওয়ায় উদ্‌বংশীয় জীব ও উত্তরপুরুষের মধ্যে অনেক বেশি বৈসাদৃশ্য দেখা দেয় এবং এরই ফলে কালক্রমে একটি নতুন প্রজাতির উৎপত্তি ঘটে। বিবর্তনের ফলস্বরূপ জীবজগতে নতুন প্রজাতির জন্ম হয়।

→ ডারউইনবাদ অনুসারে জিরাফের দীর্ঘ গ্রীবার অভিব্যক্তির ব্যাখ্যা ল্যামার্কবাদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ডারউইনবাদ অনুযায়ী উদ্‌বংশীয় জিরাফের দলে বিভিন্ন গ্রীবা-দৈর্ঘ্য-সমন্বিত জিরাফ বর্তমান ছিল। উঁচু ডালের পাতার নাগাল পাওয়ার জন্য দীর্ঘতম গ্রীবার উদ্‌বংশীয় জিরাফই প্রাকৃতিক নির্বাচনের আনুকূল্য পায়। দীর্ঘকাল প্রাকৃতিক নির্বাচনের আনুকূল্যে অভিযোজনমূলক বৈশিষ্ট্যটি একটি জনু থেকে অপর একটি জনুতে সঞ্চারিত হয় এবং বহু জনুর পর সুদীর্ঘ গ্রীবা সমন্বিত জিরাফদলের উৎপত্তি ঘটে। বর্তমানকালের জিরাফের মধ্যেও গ্রীবা -দৈর্ঘ্যের তারতম্য দেখা যায়, তবুও বর্তমানকালের সমস্ত জিরাফের গ্রীবা সুদীর্ঘ।

* প্রাকৃতিক নির্বাচনবাদের ত্রুটি (Drawbacks of Natural Slection Theory) :

(i) ডারউইন ছোটো এবং অস্থায়ী প্রকারণের ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন, কিন্তু দেখা গেছে যে, ঐগুলির বংশানুসরণ না ঘটায় অভিব্যক্তিতেও ওদের কোনো ভূমিকা নেই।

(ii) কোষের এবং জনন কোষের প্রকারণগুলির মধ্যে ডারউইন প্রভেদ করতে পারেননি।

(iii) বহু প্রকারণই জিনের কার্যগত ফল, কিন্তু তার কোনো অভিযোজনগত মূল্য না থাকায় জীব বিবর্তনে সাহায্য করে না। 

(iv) ডারউইন প্রকারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করলেও প্রকারণের উৎপত্তি সম্বন্ধে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দেন নি।

(v) ডারউইন উপযুক্তের বেঁচে থাকার কথা বললেও উপযুক্তের আবির্ভাব সম্বন্ধে কিছু বলেন নি। 

(vi) কোনও অঙ্গ তার উৎপত্তির শুরুতেই কীভাবে প্রয়োজনীয় হতে পারে ডারউইন তার ব্যাখ্যা করেন নি।

(vii) কোনও অঙ্গের অতি স্বতন্ত্রীকরণের ফলেও প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে। ডারউইনবাদে এর কোনও উল্লেখ নেই।

(viii) জলজ প্রাণী থেকে কীভাবে স্থলজ প্রাণীর বিকাশ ঘটেছে, ডারউইনবাদে তার কোনও উল্লেখ নেই।

(ix) ডারউইন যে মিশ্র বংশগতির কথা বলেছেন মেণ্ডেলের সূত্র অনুযায়ী তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। 

(x) ডারউইন মিউটেশনকে 'প্রকৃতির খেলা' বলে উপেক্ষা করেছেন।

Shaharuk Islam

Hi I am Shaharuk Islam. I enjoyed in writing articles and spread knowledge cross over the internet.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ad

Magspot Blogger Template

Ad

amazon.in
amazon.in

نموذج الاتصال