চর্যাপদের ছন্দ নির্ধারণে পণ্ডিতদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
প্রধান মতভেদগুলো:
- মাত্রাবৃত্ত ছন্দ: আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদের পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা বলে মনে করা হয়।
- পজঝটিকা ছন্দ: কারো মতে চর্যাপদ পজঝটিকা ছন্দে লেখা।
- ষোল মাত্রার চালভিত্তিক ছন্দ: কারো মতে চর্যাপদ চার মাত্রার চালভিত্তিক ষোল মাত্রার পাদাকুলক ছন্দে লেখা।
- অপভ্রংশ - অবহটঠ রচনায় ব্যবহৃত ছন্দের অনুকরণ: কারো মতে চর্যাপদ অপভ্রংশ - অবহটঠ রচনায় ব্যবহৃত ছন্দের অনুকরণ করে লেখা।
চর্যাপদের ছন্দের বৈশিষ্ট্য:
- মাত্রার উপর জোর দেওয়া হয়।
- অক্ষর সংখ্যা সবসময় নির্দিষ্ট থাকে না।
- গণ নির্দিষ্ট থাকে না।
- চরণ সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে না।
- অন্ত্যমিল থাকে।
উল্লেখ্য যে, চর্যাপদের ছন্দ সম্পর্কে এখনও অনেক গবেষণা চলছে।
চর্যাপদের কিছু বিখ্যাত ছন্দ:
- দুই পঙ্ক্তির ছন্দ: 'মায়া মোহ বিষম্, বোধিসত্ত্ব করুণা'
- চার পঙ্ক্তির ছন্দ: 'আমি ওঝা বলে, বোধিসত্ত্ব বলে'
- আট পঙ্ক্তির ছন্দ: 'শূন্যতা মহাশূন্যতা, তথাগত গর্ভ'
তথ্যসূত্র: